নিজের ইচ্ছে থাকলে মাদক ছাড়া যায়। মাদক ছাড়তে ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। তবে নিজে নিজে মাদক ছাড়া যায় না। প্রথমে মাদক ছাড়ার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে ইচ্ছাশক্তি পোষণ করতে হয়।
গুল হলো তামাকের প্রচণ্ড ক্ষতিকর সংস্করণ। মুখের ক্যানসারের বড় কারণ গুল। গুল ব্যবহার করলে ক্যানসারসহ শরীরের বিভিন্ন
দীর্ঘদিন মাদক নিলে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়। মাদকের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের মায়া-মমতা থাকে না। তারা অনেক বেশি নিষ্ঠুর হয়। আবেগশূন্য হয়। অপরাধবোধ কমে যায়। মনে হচ্ছে
আপনি অ্যালকোহল ও ঘুমের বড়ি খেতেন। এটা ছেড়ে দিয়েছেন। এ দুটো মাদক ছাড়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই। দুটি মাদক যেহেতু ছাড়তে পেরেছেন, সিগারেটও ছাড়তে পারবেন।
মাদকাসক্তকে একটা রোগ মনে করতে হবে। মাদককে ঘৃণা করব, মাদকাসক্ত রোগীকে নয়। ঘর থেকে বের হলেই মাদকের হাতছানি। তাই কে, কখন মাদকাসক্ত হবে কেউ জানি না।
অনেক সময় ও চেষ্টার পর হয়তো আপনার সন্তান ভালো হয়েছে। এজন সে বাইরে গেলে আপনার মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। আবার হয়তো মাদক গ্রহণ করতে পারে। আবার সন্তানের রূঢ় আচরণ শুরু হতে পারে।
যাদের মোবাইলে আসক্তি ঘটে যায়, অনেক ক্ষেত্রেই তারা মাদকাসক্ত হয়ে যেতে পারে। এর একটা কারণ হলো, মোবাইলে বিশ্বজগৎ হাতের মুঠোয় থাকে। কখনো কখনো কেউ হয়তো কৌতূহল থেকে
সফলতার মত ব্যর্থতাকেও জীবনের আরেকটি অনুসঙ্গ হিসেবে মেনে নিতে হবে।
সেলফ হেল্পের মূল কথা নিজেকে নিজে সাহায্য করা। এটা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিজেকে নিজে ভালো রাখা বা চিকিত্সা করার একধরনের পদ্ধতি।
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষের প্রথম পাঠশালা পরিবার। পরিবারের শিক্ষাই জীবনের সব জায়গায় কাজে লাগে। তাই পরিবার থেকেই মানুষকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা পেতে হয়। অনেকে এ শিক্ষা পায় না
পরিবারের কোনো সদস্য যদি মাদকাসক্ত হয়, সেই ব্যক্তির চিকিত্সায় পরিবারগুলোর অন্যের সহযোগিতার প্রয়োজন। মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবারগুলোকে সহযোগিতার জন্য এসব পরিবার নিয়ে যে গ্রুপ বা দল তৈরি হয়, তাকে ফ্যামিলি ...
দেশলাই-সিগারেট যেখানে থাকে, সেসব জায়গায় পারতপক্ষে না যাওয়া। যারা ধূমপান করে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলা। কোথাও ধূমপান করতে দেখলে সেখানে না যাওয়া। মানসিক ইচ্ছে তৈরি হলে নিজেকে কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত ...
প্রত্যেক মানুষের একটি নিজের জগত্ থাকে। সেখানে বন্ধু-বান্ধবসহ সমাজের অনেক বিষয় থাকে। কারও ১০, ২০ বা আরও অধিক বন্ধুবান্ধব থাকতে পারে। এদের সবার মানসিকতা চিন্তা-ভাবনা এক হবে না।
সন্তানদের সময় দিতে হবে। কেবল সময় দিলে হবে না। তাদের কার্যকর সময় দিতে হবে। অনেকে একসঙ্গে সময় কাটানোকে সময় দেওয়া মনে করেন। কেবল একসঙ্গে থাকলেই হবে না। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার গল্প করতে হবে
মাদক স্বাভাবিক চিন্তা বাধাগ্রস্ত হয়, শরীর, মন ও মস্তিষ্কের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটে, নেশা তৈরি করে। মাদক গ্রহণ করলে লিভার নষ্ট হয়। মাদক গ্রহণে কিডনি নষ্ট হয়।