‘মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ’ সভায় পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম আতিকুর রহমান।
বিয়ের পর থেকেই শুরু করা উচিত বাচ্চাকে কীভাবে সময় দেবেন। নিজের দায়িত্ব বোধ, যৌথ পরিবারের ভূমিকা কি, কীভাবে বাচ্চাকে সময় দেওয়া ।বাবা মা সন্তানকে যথেষ্ট সময় দেওয়া।
প্যারেন্টিং হলো সন্তান লালন পালন । প্যারেন্টিং বাবা মায়ের প্রেগনেন্সির থেকেই শুরু হয়। এটা শিখতে হয়। কয়েক রকম (স্বৈরাচারী, কর্তৃত্বপূর্ণ , সহনশীল) প্যারেন্টিং দেখা যায় । বাবা মায়ের সম্পর্ক ...
মাদকাসক্তের চিকিৎসায় পরিবারের সহযোগিতা, ভালোবাসা, পাশে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের চেয়েও পরিবারের পাশে থাকা অত্যন্ত জরুরি
গাঁজা বা ক্যানাবিস নিয়মিত খেলে মানসিক রোগ হয় । প্রত্যাহার জনিত সমস্যা বেশি হয়। গাঁজা খেলে মানসিক রোগ বেশি হয়, অলীক কল্পনা করে ।
মূলত প্যারেন্টিং কৌশলটা আসল ব্যাপার। প্যারেন্টিং কৌশল নিয়মতান্ত্রিক হওয়া চাই। সন্তানকে লালন-পালন করার পদ্ধতিতে পিতা-মাতাকে মনোযোগী হতে হবে।
সন্তান মাদকাসক্ত চিকিৎসাকালীন সময়ে অভিভাবকের ভূমিকা রয়েছে। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে। চিকিৎসাকালীন সময়ে বাবা-মা বলে বসেন তোমার জন্য এত কষ্ট করি।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় কম খরচে চিকিৎসা রয়েছে। রোগীকে সশরীরে হাজির হতে হয়। স্বল্প মূল্য বা নামমাত্র মূল্য এসব জায়গা থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন ঢাকার তেজগাঁও কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, জাতীয় ...
অ্যালকোহলও একটি মাদক। একটি মাদক থেকে অন্য মাদকে গিয়েছেন, তিনি মাদকাসক্তের মধ্যেই আছেন। অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতি করে । অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে লিভার অকার্যকর হয়ে যায়।
মাদক গ্রহণের ফলে মাদক মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় । স্বাভাবিক আবেগ নিয়ন্ত্রণ থাকে না, আমরা যাদের সঙ্গে বাস করি সবাই মিলে পরিবার ।
মপানে থাকে নিকোটিন । নিকোটিনও মাদক । মাদক ছাড়ার জন্য সবচেয়ে দরকার মানসিক ইচ্ছাশক্তি। প্রথমদিকেই দুই তিন দিন হয়তো সমস্যা থাকবে, পরবর্তীতে তা কেটে যাবে ।
যারা মাদক গ্রহণ করেন, তাদের হতাশা, ক্ষোভ থাকে । পরিবারের সদস্যরা তাদের বিশ্বাস করে না। মাদকে পুনরাসক্তির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
কিছুদিন নিরাময়কেন্দ্র অথবা কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসার পর এক-দুই বছর চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মের মধ্যে চললে যে কেউ জীবনের মূল ধারায় ফিরে আসতে পারে।