মাত্র তিন মাস বয়সেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন পাপ্পু কুমার পাল। কিন্তু বাবা–মায়ের ঐকান্তিক চেষ্টায় আলোর পথেই হাঁটছেন তিনি। নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা পাপ্পু ছয় বছর বয়সে পড়ালেখা শুরু করেন। শিক্ষা তথা আলোর পথের যাত্রায় নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেছেন তিনি। কিন্তু সব বাধাকে হার মানিয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান পাপ্পু। সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজে ‘২০২১-২২’ সেশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু এবার চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক অসঙ্গতি। পাপ্পুর মা ভারতী বলেন, পাপ্পুর বাবা বিমান পাল পেশায় সোনার গয়নার কারিগর। জুয়েলারির কাজ করে তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু সন্তানের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আশায় চিকিৎসার জন্য সব সম্পত্তি শেষ হয়ে গেছে।’
অদম্য ইচ্ছা ও পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে পাপ্পুকে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয়। তিনি স্নাতক (সম্মান) পর্বের চার বছর এই তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাবেন। শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ায় পাপ্পুর চলার পথ মসৃণ হয়েছে। শিক্ষাকে ভিত্তি করে এখন বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি। পাপ্পু কুমার পাল বলেন,‘ শিক্ষক ও বন্ধুরা আমাকে পড়ালেখায় সহযোগিতা করছে। আমি বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আলো ছড়ানোর মাহান পেশা শিক্ষকতায় যুক্ত হতে চাই।’