মানসিক স্বাস্থ্য
সন্তানকে রুটিনে অভ্যস্ত করতে নিজের জীবনে রুটিন মানার সুফলের কথা বলতে পারেন
প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি নিয়মিত আয়োজন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। গত ২৯ জানুয়ারি প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত অনলাইন মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক ‘সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কি সচেতন’—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। উক্ত সভার আলোচনা থেকে একটি প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: শিশু–কিশোরদের রুটিনে কীভাবে অভ্যস্ত করা যায়?
ডা. সরদার আতিক: অভিভাবকেরা সাধারণত শিশু–কিশোরদের কোনো একটি বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি, সন্তানকে বোঝানোর চেষ্টা না করে তাকে স্বপ্ন দেখতে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো একটি বিষয় বোঝানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা সাধারণত সন্তানের যুক্তি, আবেগ ও প্রয়োজনকে অস্বীকার করে নিজের মতটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এতে হিতে বিপরীত হয়। অভিভাবকেরা যদি নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো একটি বিষয়ে সন্তানকে সচেতন করতে চান, তাহলে ইতিবাচক ফল আসবে। সন্তানকে রুটিনে অভ্যস্ত করার ক্ষেত্রে অভিভাবকেরা নিজের জীবনের কথা সন্তানকে বলতে পারেন। অভিভাবকেরা নিজেরা কীভাবে পড়াশোনা করেছেন, ক্যারিয়ারে কীভাবে সফল হয়েছেন, জীবনে রুটিন মেনে চলার সুবিধাগুলো কী কী—এ তথ্যগুলো সন্তানকে সরবরাহ করতে হবে। রুটিন ছাড়া লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়, এই বিষয়ের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্তানকে সরবরাহ করতে হবে।