প্রথম আলো ট্রাস্টের একটি আয়োজন অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা। এ আয়োজনের আওতায় ২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আলোচক ছিলেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার। তিনি ‘সন্তানের বয়ঃসন্ধিকাল: অভিভাবকের সচেতনতা ‘—এই বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন। উক্ত আলোচনা থেকে একটি পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
সন্তানের বয়ঃসন্ধিকালে মা-বাবার করণীয়টা আসলে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. মেখলা সরকার বলেন, ‘এক থেকে দশ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান অনেকটাই বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল থাকে। তখন বাবা-মা যা বলেন তারা তাই মেনে নেয়। কোনরকম তর্ক-বিতর্কে তারা যেতে চায় না বা যায় না। কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের শারীরিক সক্ষমতা বা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি অন্যান্য বিষয়ে পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো চলে আসে। অনেক সময় দেখা যায় যে, সে তার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মারামারি করছে বা তাদের সঙ্গে বিতর্ক করছে। আর এই পরিবর্তনগুলো বাবা-মা সহজে মেনে নিতে চায় না। যখনই সন্তান কোন একটা বিষয়ে মতামত দিচ্ছে মা-বাবা যেহেতু অভ্যস্ত না তারা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। যখনই সে আলাদা করে একটু প্রাইভেসি চাচ্ছে, তখনই তাদের সম্পর্কে অনেক ধরনের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা চলে আসছে। যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। এই সময়টাতে বাবা-মা সন্তানদের অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এই অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতার ফলে সন্তানদের সঙ্গে বাবা-মায়ের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এই দূরত্বের কারণে একটা নেতিবাচক সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। যে কারণে সন্তানরা তাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অনেক বেশি মিশতে শুরু করে। মনে রাখতে হবে বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানদের মধ্যে আত্মমর্যাদার বোধ সৃষ্টি হয়।