হাসান হতে চায় ব্যাংক কর্মকর্তা, আর ফারজানা হতে চায় চিকিৎসক

রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ দুর্ঘটনায় সংকটে পড়ে মা-বাবা হারানো শিশুরা, যাদের অনেকের পড়াশোনা বন্ধের উপক্রম হয়। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পোশাকশ্রমিক এবং কর্মচারীদের ২০ জনের সন্তানকে এ তহবিলের অধীনে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে বরিশালের দুই ভাইবোন হাসান মাহমুদ ও ফারজানা আক্তার। হাসান হতে চায় ব্যাংক কর্মকর্তা, আর ফারজানা হতে চায় চিকিৎসক।

হাসান ও ফারজানার বাবা ফোরকান হাওলাদার রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় মারা যান। হাসান ও ফারজানার মা জেসমিন বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে মহাখালীতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি নিজে অসুস্থ। বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাই। ‘সহায়তা না পেলে সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারতাম না।

হাসান মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের আওতায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে বৃত্তি পাচ্ছে। সে এখন গুলশান কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ফারজানা পড়ছে মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে।

সাভার সহায়তা তহবিলে বিভিন্ন সময়ে জমা হয় প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর থেকে প্রায় ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয় উদ্ধারকাজ এবং চিকিৎসায়। ১ কোটি ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় ক্ষতিগ্রস্ত ১০১ জন মানুষের পুনর্বাসন সহায়তায়। আর তহবিলের বাকি টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতপত্র করা হয়। এই আমানত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ২০ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।