‘হামাগেরে সংসারত অভাব ঢুইকা পড়ছে’

বগুড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। গতকাল দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুরের সাহেববাড়ী ঘাটেছবি: সোয়েল রানা

৩০ বছর আগে স্বামী মারা গেছে গোপারন খাতুনের। তাঁর বয়স এখন প্রায় ৯০। ছেলের কাছে থাকেন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর মোহনা গ্রামে তাঁর বাড়ি। গ্রামটি এবার বন্যায় ডুবে গেলে দুর্ভোগে পড়ে পরিবারটি।

গতকাল রোববার গোপারন খাতুন এসেছিলেন প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ নিতে। ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, ‘ছাওয়ালের কামাই আর জমির ফসল দিয়্যা সংসার ভালোই চলিচ্ছিল। কিন্তু এইবার বানের পানিত সব তলায়া হামাগেরে সংসারত অভাব ঢুইকা পড়ছে। করোনাত ছাওয়ালের বাঁশের ব্যবসার কামাই বন্ধ হয়্যা গেছে। কামাই নাই, সংসার চলেনা। খাওনের কষ্ট ল্যাগা আছে।’

গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুরের সাহেববাড়ি ঘাটে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন প্রথম আলোর শেরপুর বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি ও উপজেলার জামুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুজাউদ্দোলা প্রমুখ। ত্রাণ নিতে আসা বিনোদপুর গ্রামের মোহনা ও সাহেববাড়ি মহল্লার দিনমজুর নূরে আলমের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও কৃষিজমিতে এখনো পানি রয়ে গেছে।