স্কুলের নাম ‘প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা’

পত্রিকা প্রকাশের পর থেকেই প্রথম আলো কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ চরে বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়াসহ নানা সেবামূলক কাজ করে। ২০০৫ সালে স্থানীয় বাসিন্দারা এ চরের নাম দেয় প্রথম আলোর চর। চরে ২০০৯ সালে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শিশু শ্রেণী দিয়ে বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর চরে উচ্চবিদ্যালয়ের অভাবে শিক্ষার্থী ঝরে যেত। এদের কথা চিন্তা করে ষষ্ঠ শ্রেণী, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। চরটিতে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আউয়াল ৩৩ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। ১৬টি পরিবার থেকে এখন সাড়ে ৩০০ পরিবার রয়েছে। জমিদাতা আবদুল আউয়াল ও মো. ফজল উদ্দিন বলেন, প্রথম আলো চর ফসলে ভরে গেছে। অভাব দূর হয়েছে। বিদ্যালয় না থাকলে আমাদের ছেলে মেয়েরা অশিক্ষিত থেকে যেত। আগামীতে এখান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।

চরের বাসিন্দা মো. সোবহান ব্যাপারী বলেন, এখানকার শিশুরা নদীতে মাছ ধরত, খেত–খামারে কাজ করত, মাঠে গরু চড়াত, মেয়েদের বাল্যবিবাহ দেওয়া হত। বিশাল এই চরটিতে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে দূরে ছিল।

প্রথম আলো এই চরে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষকসহ একজন অফিস সহকারী আছে। পাঠদানের জন্য তিনটি বড় ঘর, টিউবয়েল, শৌচাগার ও শিক্ষকদের বিশ্রামাগার রয়েছে। শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট বর্তমানে ৬টি স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।