সৃষ্টিশীল কাজে থাকলে মাদকাসক্তি এড়ানো যায়

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ১৯ নভেম্বর বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৫৪-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

(বাঁ থেকে) ফারজানা রহমান, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, মোহিত কামাল, আখতারুজ্জামান সেলিম, ইকবাল মাসুদ ও মেখলা সরকার
(বাঁ থেকে) ফারজানা রহমান, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, মোহিত কামাল, আখতারুজ্জামান সেলিম, ইকবাল মাসুদ ও মেখলা সরকার

শুরুতে মোহিত কামাল সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রথম আলো দীর্ঘদিন ধরে এ অনুষ্ঠান করছে। প্রথম আলো এবং আমাদের উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো কোনোভাবে আপনাদের জন্য যদি কিছু করতে পারি। আমাদের এ আলোচনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তখন অনেকেই এখান থেকে তথ্য নিয়ে উপকৃত হন বলে আমরা জানি। তাই আপনারা খোলামেলা প্রশ্ন করবেন। এখানে সবার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়। যাঁরা অনুষ্ঠানে আসেন তাঁদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো মাদকের সমস্যায় হতাশাগ্রস্ত¦। আপনাদের প্রশ্নের মাধ্যমে যে উত্তর আসবে এখান থেকে অন্য ভুক্তভোগীরা তাঁদের সমস্যার সমাধান পাবেন। তাই আপনারা যেসব সমস্যায় ভুগছেন সে বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন করুন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: আমার ছেলেকে রিহ্যাবে (নিরাময়কেন্দ্র) ভর্তি করেছি। বেশ কিছুদিন রিহ্যাবে আছে। এখন চলে আসতে চায়। এ ক্ষেত্রে কী করব?

সমাধান: নেশা ছাড়ার পর অনেক দিন পর্যন্ত নেশার কিছু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া  থাকে।  তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। রিহ্যাবের কিছু নিয়মকানুন আছে এগুলো মাদকাসক্ত রোগীদের মেনে চলতে হয়। কেউ যদি না মানে তা হলে তার চিকিৎসা হবে না। চিকিৎসক যদি রোগীকে বাসায় আসার অনুমতি দেন তা হলেই কেবল বাসায় আনা যাবে। তা ছাড়া আনা যাবে না। তার কথায় মনে হচ্ছে, সে এখনো মাদকের নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। মাদকের নেশা চাপলেই বিভিন্ন অজুহাতে নিরাময়কেন্দ্র থেকে চলে আসতে চায়। আপনার ছেলের চলে আশার অর্থই হচ্ছে তার মাদকের নেশা হচ্ছে। সে এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই তাকে আনা যাবে না। নিরাময় কেন্দ্র থেকে চলে আসতে চাওয়ার অর্থই তার নেশা চেপেছে। যেকোনো মূল্যে নিরাময় কেন্দ্রের বাইরে আসতে চায়। তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে হবে। তার মানসিক সমস্যা আছে কি না জানি না। এ সমস্যা থাকলে তিন থেকে চার মাস বা আরও বেশি চিকিৎসা নিতে হতে পারে।

প্রশ্ন: অনেক মাদকাসক্ত রোগী রিহ্যাব সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ করে। যেমন রিহ্যাবে অত্যাচার করা হয়।  ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না। চিকিৎসা হয় না ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে  কী করব?

সমাধান: কোনো মাদকাসক্ত রোগীই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে চায় না। সে সব সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ও নেশা করতে চায়। মুক্ত অবস্থা থেকে বন্দী অবস্থায় এলেই তার মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। একজন মাদকাসক্ত রিহ্যাবে ভর্তি হলে সে একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পড়ে যায়। কারণ রিহ্যাবে কোনো প্রকার মাদক গ্রহণের সুযোগ থাকে না। বাইরে ঘোরাফেরা বা আড্ডা দেওয়ার সুযোগ থাকে না। মাদক গ্রহণ করতে না পেরে প্রথমদিকে তার মধ্যে ভীষণ অস্থিরতা তৈরি হয়। তা ছাড়া তার খাওয়া-দাওয়া ঘুম- সবকিছুর মধ্যে একটা নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। তার জন্য কাউন্সিলিং করা হয়। প্রথমদিকে এর কোনো কিছুই তার ভালো লাগে না। সে যেকোনোভাবে বাইরের পরিবেশে আসতে চায়। এই আসার জন্য যত ধরনের মিথ্যা কথা বলা যায় সে বলতে থাকে। সে এমনভাবে মিথ্যা কথা বলবে যে মা-বাবাসহ যেকোনো নিকটজন আবেগপ্রবণ হবেন। তার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। সন্তান বা প্রিয়জনকে ভালো করতে হলে সঠিক চিকিৎসাকে গুরুত্ব দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড় রিহ্যাব থেকে আনা যাবে না।

প্রশ্ন: সব রিহ্যাবের মান কি ভালো? সবার কি মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞ লোকবল আছে? রিহ্যাব সম্পর্কে আপনাদের মূল্যায়ন কী?

সমাধান: এটা ঠিক সব রোগীর অভিযোগ অমূলক না। আমরা নিজেরাও রিহ্যাব সম্পর্কে অভিযোগ পাই। তবে কোনো রিহ্যাবে ভর্তি করার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। দেখতে হবে রিহ্যাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আছেন কি না। মাদকাসক্তের সঙ্গে প্রায় অধিকাংশ রোগীর মানসিক সমস্যা থাকে। সে ক্ষেত্রে রিহ্যাবে মানসিক চিকিৎসক আছেন কি না সেটাও খোঁজ নিতে হবে। রিহ্যাবের পরিবেশ, থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাপদ্ধতি সব বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। অনেক নিরাময় কেন্দ্রে সঠিক চিকিৎসা হয় না। এ জন্য অনেক দিন নিরাময় কেন্দ্রে থাকার পরও রোগীরা ভালো হয় না। এ জন্য আপনার  সন্তানকে কোথায় ভর্তি করবেন এ বিষয়টি খুব জরুরি। আবেগের বসে যেখানে-সেখানে হঠাৎ করে ভর্তি করবেন না।

প্রশ্ন: আমার সন্তানের বয়স ৩০ বছর। সে মাদকাসক্ত। কী করব?

সমাধান: আপনার সন্তান কত দিন ধরে মাদকাসক্ত সেটা বলেননি। ও মাদক গ্রহণের কোন মাত্রায় আছে আমরা জানি না। তবে যা-ই হোক না কেন সে মাদক গ্রহণ করে এটা নিশ্চিত। সে একটা চরম বিপদের মধ্যে প্রবেশ করেছে। যত দ্রুত সম্ভব তাকে এখান থেকে মুক্তি দিতে হবে। তার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। সে কত দিন ধরে মাদক নেয়। কী কী মাদক নেয়, সবকিছু জানতে চেষ্টা করেন। সে আপনার ওপর আস্থা রাখতে পারলেই সবকিছু খুলে বলবে। তখন তাকে দ্রুত কোনো মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে এনে তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করতে হবে। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিতে পারেন। মাত্র ১০ টাকায় টিকিট করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  দেখাতে পারবেন।

প্রশ্ন: আমি যশোর থেকে এসেছি। আগে গাঁজা, ইয়াবা খেতাম। তিন মাস ধরে এসব খাই না। সারা জীবন ভালো থাকতে চাই। কীভাবে ভালো থাকব?

সমাধান: তিন মাস ধরে কোনো মাদক গ্রহণ করছেন না। এজন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। একজন মানুষের ভালো থাকার প্রথম শর্ত তার নিজের ইচ্ছাশক্তি। তারপর চিকিৎসকের সহায়তা। আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন যখন মাদক গ্রহণ করেছিলেন তখন কেমন ছিলেন, এখন কেমন আছেন। এখন যদি ভালো থাকেন এবং আপনার কথা অনুসারে যদি অনেক ভালো থাকেন তাহলে কেন মাদক গ্রহণ করবেন? লালনের গানে আছে, ‘এমন মানবজীবন আর হবে না’ মানুষের একটাই জীবন, আর এই একটা জীবনকে মাদক খেয়ে নষ্ট করবেন? তা হতে পারে না। এখন থেকে আপনি একজন পরামর্শকের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা শপথ করবেন। শপথ হলো, আজকের দিনটা আমি ভালো থাকতে চাই। এভাবে প্রতিটা দিন ভালো থাকবেন। মাদক নিতে ইচ্ছে করলেই পরামর্শকের সঙ্গে কথা বলবেন। শরীরচর্চা করতে পারেন। খেলাধুলা করতে পারেন। গল্প-উপন্যাসের বই পড়তে পারেন। বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন। এভাবে নিজেকে মাদকমুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। কোনো দুর্ঘটনায় যদি একবারও মাদক গ্রহণ করেন তাহলে আবার গোড়াতেই চলে গেলেন।

 প্রশ্ন: আমরা সেলফ হেল্প গ্রুপের কথা শুনি এটা কী? 

সমাধান: সেলফ হেল্প (নিজেকে নিজে সাহায্য) এর মূল কথা নিজেকে নিজে সাহায্য করা। এটা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিজেকে নিজে ভালো রাখা বা চিকিৎসা করার একধরনের পদ্ধতি। বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের সেলফ হেল্প গ্রুপ আছে। এদের মধ্যে নারকটিকস এনোনিমাস বা এনএ একধরনের সেলফ হেল্প গ্রুপ। নারকটিকস এনোনিমাস (এনএ) মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার একটি পদ্ধতি। এখন আমাদের দেশে সেলফ হেলফ এনএ মাদকের চিকিৎসায় কাজ করছে।

প্রশ্ন: সেলফ হেল্প গ্রুপ কীভাবে আমাদের সাহায্য করে?

সমাধান: মাদকের ভয়াবহতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, তাঁদের সুস্থতাকে দীর্ঘায়িত করা এবং অন্য মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার মধ্য দিয়ে নিজের সাহায্য গ্রহণ করাই সেলফ হেল্প গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। অনেক মাদকাসক্ত রোগী নিজের ইচ্ছায় ভালো হতে চান। তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি খুবই উপযোগী। এই গ্রুপটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। মাদক থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত একে অপরের সঙ্গে সুস্থ থাকার জন্য আলোচনা-সমালোচনা ও পরামর্শ করেন। যেকোনো আসক্ত ব্যক্তি, তিনি যে ধরনের নেশা করেন না কেন, এ সংগঠনের সদস্য হতে পারেন। সদস্য হওয়ার জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও অর্থনৈতিক অবস্থান কোনো কিছুরই বাধা না। এ গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য কোনো অর্থ প্রদান করতে হয় না। সভায়  উপস্থিতির হাজিরা নেওয়া হয় না। যা দরকার তা হলো মাদকাসক্ত ব্যক্তির সুস্থ থাকার ইচ্ছা। সুস্থ থাকার জন্য নিজের ইচ্ছা-আগ্রহে সভায় উপস্থিত থাকা।

্রশ্ন: কীভাবে বুঝব আমার সন্তান মাদক নিচ্ছে?

সমাধান: সন্তান কোথায় যাচ্ছে? কখন যাচ্ছে? কার সঙ্গে যাচ্ছে? কখন ফিরছে? কীভাবে ফিরছে? তার আচরণের কী কী পরিবর্তন আপনি লক্ষ করছেন? সবকিছু খেয়াল করতে হবে। অনেক মা-বাবা এসে বলেন, ‘আমাদের সন্তান বদলে গেছে। আমরা তাকে চিনতে পারছি না। সন্তানের খাওয়া-দাওয়ার ঠিক নেই। চেহারা অন্য রকম হয়ে গেছে ইত্যাদি।’ এগুলো সবই মাদকাসক্তির লক্ষণ। যদি আপনার সন্তানের অনেক নতুন বন্ধু হয়, তাদের সঙ্গে সময়-অসময়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়, অনিয়মিত জীবনযাপন করে, এগুলো দেখে বুঝতে পারবেন সে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশছে। মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। শুরুতেই তাকে এ বিপজ্জনক পথ থেকে ফেরাতে হবে। একবার মাদকে আসক্ত হলে  জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝঁুকিতে পড়ে যাবে।

প্রশ্ন: আমরা অনেকে জানি না ভালো নিরাময়কেন্দ্র কোথায় আছে। কোথায় ভর্তি করব। নিরাময়কেন্দ্রের ব্যাপারে আপনাদের কোনো মতামত আছে কি না।

সমাধান: অনেক অভিভাবক আমাদের কাছে জানতে চান কোথায় তাঁদের সন্তানদের ভর্তি করাবেন। দুই ধরনের নিরাময়কেন্দ্র বা রিহ্যাব আছে। একটা সরকারি, অন্যটা বেসরকারি। আপনার সন্তানকে ভর্তি করতে হলে অবশ্যই জেনে-বুঝে ভর্তি করতে হবে। তা না হলে চিকিৎসার পরিবর্তে ক্ষতিটাই বেশি হবে। মাদকের চিকিৎসা করানো যায় এমন কয়েকটা প্রতিষ্ঠান হলো

কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র: কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময়কেন্দ্র, ৪৪৩ তেজগাঁও, ঢাকা। এখানে বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট: বিনা মূল্যে রোগীরা সেবা পেয়ে থাকেন। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত খোলা থাকে।  

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল:  দরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়াসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত খোলা থাকে।

পাবনা মানসিক হাসপাতাল: এখানে থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসার খরচসহ প্রতিদিন ২৮৪ টাকা শয্যা ভাড়া দিতে হয়। বিনামূল্যেও ব্যবস্থা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও কম খরচে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায়।

এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা আছে কি না, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছে কি না, চিকিৎসার পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয় যাচাই-বাছাই করে সেখানে আপনাদের সন্তান বা প্রিয়জনদের ভর্তি করাতে পারেন।

সঞ্চালনায়: ফেরদৌস ফয়সাল

গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান

পরামর্শ দিয়েছেন যাঁরা:

মোহিত কামাল, অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল: নির্বাহী পরিচালক, আপন

আখতারুজ্জামান সেলিম, আবাসিক চিকিৎ​সক, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র, ঢাকা

ফারজানা রহমান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশন

পরবর্তী অনুষ্ঠান

পরামর্শ সহায়তা-৫৫

তারিখ: ২০ ডিসেম্বর

সময়: বিকেল চারটা

স্থান: ডব্লিউভিএ মিলনায়তন

বাড়ি: ২০, ধানমন্ডি ২৭, ঢাকা

যোগাযোগ: ০১৭১৬২৪২২১৫

প্রথম আলো মাদকবিরোধী আন্দোলন