সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন ফাল্গুনী

ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী ফাল্গুনী সাহা
প্রথম আলো।

দুই বছর বয়সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর দুই হাত। অতটুকুন বয়সে সেই দুই হাত কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে ফাল্গুনীর। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অদম্য মেধাবী ফাল্গুনী সাহার গল্প এটি।

ফাল্গুনীর বাবা জগদীশ চন্দ্র সাহা আলু–ছোলা বেচতেন। বাবার ওই আয়ে চার মেয়েসহ ছয়জনের সংসার চালানো ছিল কষ্টসাধ্য। মা ভারতী সাহা মিষ্টির প্যাকেট তৈরি করে বেচতেন। ২০১৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফাল্গুনী জিপিএ–৫ পান। ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পান। শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হন।

২০১৪ সালে বাবার মৃত্যু হয়। স্নাতক শেষে ২০১৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরের বছর বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের বরিশাল সদর কার্যালয়ে মানবসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ফাল্গুনী।

ফাল্গুনী বলেন, ‘প্রথম আলো ট্রাস্ট সহযোগিতা করেছিল বলেই নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলাম। সবাইকে নিয়ে আগের চেয়ে ভালো আছি।’

ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্টের অদম্য মেধাবী কার্যক্রমের আওতায় প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলের ওপর ভিত্তি করে যথাক্রমে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক শ্রেণিতে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।