সন্তানকে সময় দিলে মাদকাসক্তি ঠেকানো যায়
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ৩০ অক্টোবর বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৫৩-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

শুরুতে আহমেদ হেলাল সবাইকে শুভেচ্ছে জানিয়ে বলেন, আজকে আমাদের ৫৩তম অনুষ্ঠান। এ দীর্ঘ সময় আপনারা সঙ্গে আছেন। অনেকেই আমাদের এ আসর থেকে পরামর্শ নিয়ে তাদের সন্তান ও নিকটাত্মীয়দের ভালো করেছেন। এসব আমাদের আনন্দ দেয়। আমরা সব সময় হতাশ না হওয়ার কথা বলি। আজকাল মাদকাসক্ত কোনো কঠিন রোগ নয়। কিছুটা ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। অনেকে মনে করেন, মাদকাসক্ত ভালো হয় না। এ ধারণা কোনোভাবে ঠিক নয়। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের জন্য এখন আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে। সঠিক পরিচর্যা ও ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসা করলে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার স্বামী ইয়াবা খায়। কিন্তু স্বীকার করে না। বাসায় মারপিট করে। এটা-ওটা বলে টাকা নেয়। ১০ বছর ধরে ইয়াবায় আসক্ত। চার মাস নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি আছে। নিরাময়কেন্দ্র থেকে বাসায় আসতে চায়। বাসায় এলে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে?
সমাধান: অধিকাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তির কয়েকটি সমস্যা থাকে। যেমন: মানসিক সমস্যা, ব্যক্তিত্বের সমস্যা, আবেগপ্রবণ ইত্যাদি। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিজেদের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মাদকের নেশা প্রবল হলে তাদের মাথা ঠিক থাকে না। টকার জন্য যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত থাকে। এ জন্য তার ওপর দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ, সে আসলে মাদক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকে। আপনার স্বামী যে রিহ্যাবে (নিরাময়কেন্দ্র) আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে চেষ্টা করেন সে মাদক ছাড়া তার আর কোনো সমস্যা আছে কি না। যেমন, মানসিক ও ব্যক্তিত্বের সমস্যা থাকলে সেগুলোরও চিকিৎসা করতে হবে। ভালো চিকিৎসকের কাছে বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে। যেনতেন রিহ্যাবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা দিলেও ভালো হবে না। রিহ্যাবে দেওয়ার সময় যাচাই-বাছাই করে ভর্তি করতে হবে। চার মাস নিরাময়কেন্দ্রে আছে। বাসায় আসতে চায়। ভালো নিরাময়কেন্দ্রে সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে এ সময়ে মাদকাসক্ত ভালো হওয়ার কথা। তার শরীরের অবস্থা আমরা যানি না। নিরাময়কেন্দ্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করুন তাঁরা যদি বাসায় আসার অনুমতি দেন তা হলে আনুন। বাসায় আসার পর তাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেশা যাবে না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। যেসব জায়গায় মাদক পাওয়া যায় এবং যেখানে সে মাদক নিত, সেসব জায়গায় যাওয়া যাবে না। দেড় থেকে দুই বছর বাসায় এসব নিয়ম মেনে চলতে পারলে আপনার স্বামী স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন।
প্রশ্ন: আমার ছেলে দুই মাস হলো নিরাময়কেন্দ্রে আছে। তাকে নিয়ে আসার জন্য সে চিঠি লিখেছে। সে বলেছে, এখন নিয়ে এলে ভালো হবে। তা না হলে ভালো হবে না। এ অবস্থায় কী করতে পারি?
সমাধান: নেশা ছাড়ার পরও অনেক দিন পর্যন্ত শরীরে রাসায়নিক ক্রিয়া থেকে যায়। তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। চিকিৎসক যদি আনতে বলেন, একমাত্র তা হলেই আনতে পারেন। তা ছাড়া আনা যাবে না। তার কথায় বোঝা যাচ্ছে, এখনো মাদকের নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেনি। শর্ত দিয়ে আসার অর্থই তার নেশা চেপেছে। যেকোনো মূল্যে নিরাময়কেন্দ্রের বাইরে আসতে চায়। তার জন্য চিকিৎসকে পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে হবে। তার মানসিক সমস্যা আছে কি না, জানি না। এ সমস্যা থাকলে তিন থেকে চার মাস বা আরও বেশি সময় চিকিৎসা নিতে হতে পারে।
প্রশ্ন: আমার মামা দেশের বাইরে থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়েছেন। ১০ বছর যাবৎ তিনি মাদকাসক্ত। একটা নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন। বাসা থেকে টাকা দেওয়া হয় না। আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করেন।
সমাধান: প্রতিদিন বেশি পরিমাণ অ্যালকোহল নিলে তার খিঁচুনি হতে পারে। এসব রোগীকে আমরা ভিটামিন দিই। ওষুধের মাধ্যমে অ্যালকোহল কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর সঙ্গে অবসাদ কমানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিছুদিন এভাবে চিকিৎসা নিলে অ্যালকোহলমুক্ত হয়। তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। যদি যোগাযোগ না রাখে, তবে ধরে নিতে হবে সে আবারও অ্যালকোহলে আসক্ত হয়েছে। সে যেহেতু নিরাময়কেন্দ্র থেকে পালিয়ে এসেছে, তার নেশার মাত্রা খুব বেশি। সে হয়তো বিভিন্ন ধরনের নেশা করে আপনারা জানেন না। যাচাই-বাছাই করে যেকোনো একটি ভালো নিরাময়কেন্দ্রে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি করতে হবে। তাকে ভালো কোনো চিকিৎসাকের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগে যেন ওই নিরাময়কেন্দ্র ছাড়তে না পারে, এমন একটি নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি করতে হবে। নিরাময়কেন্দ্র থেকে তো পালিয়ে আসার সুযোগ থাকে না। তা হলে আপনারা কোথায় দিয়েছেন, যেখান থেকে সে পালাতে পারে? ভালো চিকিৎসক, ভালো নিরাময়কেন্দ্র না হলে সেরে ওঠা কঠিন হবে।
প্রশ্ন: আমার ছেলে অনেক বেশি মাদকাসক্ত। ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, মদ—সবই খায়। খুব কম ঘুম হয়। বাসায় অনেক বকাবকি করে। নিরাময়কেন্দ্রে দিয়েছি। এখন কী করতে পারি?
সমাধান: আপনাকে ধন্যবাদ। ছেলেকে রিহ্যাবে (নিরাময়কেন্দ্র) দিয়ে ভালো করেছেন। চিকিৎসার প্রথম ধাপ শেষ করেছেন। একটা কথা বারবার বলি, কেবল রিহ্যাবে দিলেই হবে না। দেখে-শুনে যাচাই-বাছাই করে ভালো নিরাময়কেন্দ্রে দিতে হবে। তা না হলে অনেক দিন নিরাময়কেন্দ্রে রাখলেও ভালো চিকিৎসা হবে না। এমন অভিযোগ শোনা যায়, অনেকেই চিকিৎসার নামে ব্যবসা করছেন। রিহ্যাবে ঠিকমতো চিকিৎসা নিচ্ছে কি না, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কি না, কখন কী অবস্থায় আছে, খোঁজ রাখেন। সে বিভিন্ন কথা বলে চলে আসতে চাইবে। কিন্তু চিকিৎসার মেয়াদ শেষ না হলে কোনোভাবে আনবেন না। মেয়াদ শেষে যখন বাসায় আসবে, তখনো তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। মাদক চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা। নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে।
প্রশ্ন: আমার ভাই মাদকাসক্ত। প্রায় সব ধরনের মাদক খায়। সে চাকরি করে। একজন চিকিৎসকের আওতায় আছে। তাকে কীভাবে ভলো করব?
সমাধান: আপনাকে অভিনন্দন। যেভাবেই হোক ভাইকে চিকিৎসকের কাছে নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত ভইয়ের খোঁজখবর নিতে হবে। সে কোথায় যায়, কী করে, চাকরির ক্ষেত্রে কাজে ফাঁকি দেয় কি না, এসব ঠিকমতো দেখতে হবে। বাসায় আসার পর কোনো না কোনো কিছুর মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে। আবার চাকরির কথা বলে মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে মাদক খায় কি না, সেটা দেখতে হবে। বাড়ির মুরুব্বি ও আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মনে রাখতে হবে, মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নয়, মাদককে ঘৃণা করতে হবে। আপনার ভাই সরকারি চাকরি করলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনলে বেডভাড়া ও চিকিৎসার খরচ কিছুই লাগবে না। চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে সবাই তাকে সহযোগিতা করেন।
প্রশ্ন: আমার ছেলের বয়স ২৭ বছর। বিদেশ থেকে এমবিএ করেছে। এখন ইয়াবায় আসক্ত। বিভিন্ন নিরাময়কেন্দ্রে (রিহ্যাব) দিয়েছি। রিহ্যাব থেকে ফিরেই আবার মাদকাসক্ত হয়। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি চলছে। এখন কী করব?
সমাধান: আপনি বলছেন রিহ্যাব থেকে ফিরেই মাদকাসক্ত হয়। এর অর্থ রিহ্যাবে চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই আপনার ছেলেকে বাসায় আনছেন। প্রত্যেকের মাদক গ্রহণের মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসার একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে রোগীকে বাসায় আনা যাবে না। আনলে সে আবার মাদকাসক্ত হবে। রিহ্যাব থেকে আসার পর তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। বাসায় আসার পর টাকাপয়সা দেবেন না; যা প্রয়োজন আপনারা উপস্থিত থেকে কিনে দেবেন। তাকে সময় দিতে হবে। একা থাকতে দেওয়া যাবে না। যে জায়গায় নেশা করে, সেখানে যেন কোনোভাবেই না যেতে পারে। যে বন্ধুদের সঙ্গে আগে নেশা করত, তাদের সঙ্গে কোনোভাবে মিশতে দেওয়া যাবে না। তার সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কোনো কিছু গোপন করার দরকার নেই।
প্রশ্ন: আমার ভাইকে নিয়ে এসেছি। ও এখন ভালো হতে চায়। ২০১১ সাল থেকে মাদকাসক্ত। রিহ্যাবে ছিল। মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে যায়। ওর সিজোফ্রেনিয়া আছে। গাঁজা খায়। এখন ওষুধ খাচ্ছে। আমরা তার জন্য কী করতে পারি?
সমাধান: আপনি নিজে সুস্থ হতে চান। আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। গাঁজা বা যেকোনো মাদকে আসক্ত থাকলে মানসিক সমস্যা হতে পারে। আপনার মানসিক সমস্যা আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। মানসিক সমস্যা থাকলে এরও চিকিৎসা করতে হবে। কেউ যদি নিজে ভালো হতে চায়, তার জন্য মাদক থেকে ফিরে আসা অত্যন্ত সহজ। নিজের দৃঢ় মনোবল ও মানসিক শক্তি থাকলে সে ফিরে আসতে পারবেই। তবে কোনো ভালো চিকিৎসকের সহযোগিতা নিতে হবে। আপনি পড়ালেখা, চাকরি বা অন্য কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। যেসব জায়গায় মাদক নিতেন, সেখানে কোনোভাবে যাবেন না। মাদকাসক্ত পুরোনো বন্ধদের সঙ্গে মিশবেন না। কয়েক মাস মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেন। সবার সঙ্গে কথা বলেন। ভালো চিন্তা করতে থাকেন। নতুন একটা পরিচ্ছন্ন জীবনের স্বপ্ন দেখেন। তা হলে দেখবেন দ্রুত ভালো হয়ে উঠছেন।
প্রশ্ন: আমার ভাইয়ের ছেলে ইয়াবায় আসক্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তাকে কীভাবে ভালো করতে পারি?
সমাধান: আজকাল তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ইয়াবা গ্রহণের মাত্রা বেড়ে গেছে। ইয়াবা সম্পর্কে মাদক ব্যবসায়ীরা কিছু ভুল ধারণা প্রচার করেছে। শিক্ষার্থীরা ও অন্য তরুণ-তরুণীরা এতে বিভ্রান্ত হচ্ছে। যেমন: অনেকে মনে করেন ইয়াবা খেলে শরীর স্লিম (হালকা-পাতলা) হয়; শরীরিক শক্তি বাড়ে; আনন্দ পাওয়া যায় ইত্যাদি। খুব সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে অন্য রকম মনে হতে পারে। কিন্তু কিছুদিন পরেই সে এর চরম ক্ষতিকর দিকগুলো বুঝতে পারে। শরীরের মাংসপেশি শুকিয়ে যায়। যৌনশক্তি থাকে না। ঘুম হয় না। শরীর দুর্বল হতে হতে এমন অবস্থা হয় যে বেঁচে থাকার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। তাই ইয়াবা থেকে এখনই আপনার ভাইয়ের ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাকে ভলো কোনো রিহ্যাবে ভর্তি করান। চিকিৎসার আওতায় আনুন। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনলে ১০ টাকায় টিকিট করে দেখাতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই তার চিকিৎসার দেরি করা যাবে না।
প্রশ্ন: আমার সন্তান মাদকাসক্ত। সামাজিক অবস্থান নষ্ট হওয়া বা মানসম্মানের ভয়ে বাড়ির অন্যরা এটা গোপন রাখতে চান। এ ক্ষেত্রে কী করণীয়?
সমাধান: মাদকাসক্তি আর দশটা রোগের মতো একটা রোগ। একে ভিন্নভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সব সময় বলি, যিনি মাদকাসক্ত, তিনি অপরাধী নন। তিনি একটি অপরাধের শিকার হয়েছেন মাত্র। অন্য কোনো দুর্ঘটনায় আমরা কাউকে দোষ দিই না। গোপন করি না। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। কিন্তু আপনজন মাদকাসক্ত হলে কেন গোপন করি? মনে করি সে অপরাধী। এভাবে গোপন করার কারণে একসময় সে ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবার উভয়ের জন্য অনেক বেশি অসম্মানজনক। আর সাধারণত গোপনীয়তা রক্ষা করেই রোগীকে চিকিৎসা করানো হয়। একটি বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে, ভালো হয়ে যাওয়ার পর আবার সে মাদকাসক্ত হতে পারে। এটি বারবার ঘটতে পারে। কিন্তু সে ভালো হবে—এই বিশ্বাস সবার রাখতে হবে। আর দেরি না করে আপনার সন্তানকে এখনই চিকিৎসার আওতায় আনেন।
পরামর্শ দিয়েছেন যাঁরা:
আহমেদ হেলাল, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
অভ্র দাশ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
জিল্লুর রহমান খান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
ফারজানা রাবিন, সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ঢাকা
ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন
সঞ্চালনায়: ফেরদৌস ফয়সাল
গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান
পরবর্তী অনুষ্ঠান
পরামর্শ সহায়তা-৫৫
তারিখ: ২০ ডিসেম্বর
সময়: বিকেল চারটা
স্থান: ডব্লিউভিএ মিলনায়তন
বাড়ি: ২০, ধানমন্ডি ২৭, ঢাকা
যোগাযোগ: ০১৭১৬২৪২২১৫
প্রথম আলো মাদকবিরোধী আন্দোলন