রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাজ করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট

পুনর্বাসনের জন্য অনুদান প্রাপ্তদের একাংশ।
ছবি: প্রথম আলো।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলে ঘটে যাওয়া শতাব্দীর ভয়াবহতম ভবন বিপর্যয় সাভারের রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৪ পোশাককর্মী নিহত হন। কারখানার অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন দুই হাজারের বেশি শ্রমিক।

ঘটনার প্রথম দিন থেকেই প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বন্ধুসভা ওষুধ ও সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে কাজ শুরু করেন। ২৬ এপ্রিল পূর্বনির্ধারিত মেরিল-প্রথম আলো অনুষ্ঠানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল থেকেই ছিল শোকের পরিবেশ। ওই দিনের অনুষ্ঠানটিকে সাভার দুর্গতদের জন্য উৎসর্গ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় একটি সহায়তা তহবিল গঠনের। প্রথম আলোর সাংবাদিক ও কর্মীদের এক দিনের বেতন দুই লাখ টাকা দিয়ে তহবিল শুরু হয়। এরপর স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ঘোষণা করেন ১০ লাখ টাকা অনুদানের কথা। ওই অনুষ্ঠানেই শিল্পী ও কলাকুশলীদের অনুদান যুক্ত করে 'মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল' গঠিত হয়। পরে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ তহবিলে সহায়তা প্রদান করেন।

শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া ২০জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবকেরা।
ছবি: প্রথম আলো

তহবিলে জমা পড়া অর্থ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা, চিকিত্সা, শিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা করা হয়েছে। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য এ তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিলের মাধ্যমে তাত্ক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনায় পতিত এবং আহত ব্যক্তিদের জন্য খাবার, স্প্রে, অক্সিজেন ও পানি সরবরাহ করা হয়। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তীতে, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে পুনর্বাসনের জন্য ১০০ জনকে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা করে ও ১ জনকে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রানা প্লাজায় নিহত ব্যক্তিদের ২০ জনের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্ব পর্যন্ত এই সহায়তা দেওয়া হবে।