প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ৭ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৪৫-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগীরা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদেরবিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

শুরুতে মোহিত কামাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, দিন দিন দেশে মাদকাসক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের প্রায় সর্বত্র এখন মাদক পাওয়া যায়। মাদকে দেশের অনেক মেধাবী তরুণের জীবন ধ্বংস হচ্ছে। মাদকাসক্ত থেকে মুক্ত করার জন্য অনেকে মারধর করেন। ঘরে বন্দী করে রাখেন। খারাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু সবাইকে মনে রাখাতে হবে, এভাবে কাউকে মাদক থেকে ফেরানো যাবে না। মাদক থেকে মুক্ত করার একটা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে। সে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মাদকাসক্ত রোগীরা ভালো হবেন। অনেকে আবার মাদকাসক্ত রোগীদের লুকিয়ে রাখেন। সবার সঙ্গে খোলামেলা হন না। কোথাও একসঙ্গে বোড়াতে যান না। সবাইকে মানে রাখতে হবে মাদকাসক্ত অন্য দশটা রোগের মতো একটা রোগ। অন্য রোগের ক্ষেত্রে যেমন লুকিয়ে রাখি না। মাদকাসক্ত রোগীকেও লুকিয়ে রাখব না। সবার সঙ্গে খোলামেলা হয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।
প্রশ্ন: আমার ছোট ভাই দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নিরাময়কেন্দ্রে দিয়েছি। কয়েক দিন ভালো ছিল। সে প্রায় পাঁচ বছর ধরে গাঁজা খাচ্ছে। সারা দিন ঘুমায়। তাকে কীভাবে ভালো করব?
উত্তর: দীর্ঘদিন যেকোনো মাদক গ্রহণ করলে সে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়। স্বাভাবিক মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে না। সে প্রায়ই খারাপ আচরণ করবে। নিরাময়কেন্দ্রে দিয়েছেন। কয়েক দিন ভালো ছিল। অর্থাৎ নিরাময়কেন্দ্রে যেভাবে চিকিৎসার দরকার ছিল, সেভাবে চিকিৎসা হয়নি। তা ছাড়া সব নিরাময়কেন্দ্রের মান সমান না। কোনো নিরাময়কেন্দ্রে দেওয়ার আগে সেটা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। মানসম্মত চিকিৎসক আছে কি না। রেজিস্ট্রেশন আছে কি না। সেবার মান ভালো কি না। সব কিছু খোঁজখবর নিয়ে রোগী ভর্তি করাতে হবে। গাঁজায় অনেক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভয়ানক ক্ষতিকর উপাদান আছে। একবার গাঁজা খেলে এ উপাদানটি প্রায় এক বছর শরীরে থাকে। বিভিন্নভাবে শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে। যেকোনো উপায়ে তাকে গাঁজা মুক্ত করতে হবে। এখনই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের আওতায় আনতে হবে।
প্রশ্ন: আমি কয়েক বছর ধরে মাদক নিয়েছি। এখন দুই মাস ভালো আছি। মাঝেমধ্যে মাদক নেওয়ার ইচ্ছা হয়। কিন্তু আমি ভালো থাকতে চাই। ভালো থাকার জন্য কী করতে হবে?
উত্তর: আপনি দুই মাস ভালো আছেন। আমাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। আশা করি, আপনি জীবনে আর কখনো এই অন্ধকার পথে পা বাড়াবেন না। আপনার মাঝেমধ্যে মাদক নিতে ইচ্ছা করে। আপনার মধ্যে হয়তো এখনো কিছুটা মাদকের প্রভাব আছে। আপনি ভালো থাকতে চান। ভালো থাকার জন্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।
যখন মাদক নিতে ইচ্ছা করবে, তখন মা-বাবা, ভাইবোন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলেন। টেলিভিশন দেখেন। গান শোনেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিনোদন ও আনন্দের মধ্যে থাকতে চেষ্টা করেন। মনীষীদের জীবনী পড়েন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। গল্প-উপন্যাসের বই পড়তে পারেন। ঘরে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুল করতে পারেন। তাদের আপনার ছোটবেলার মজার গল্প শোনাতে পারেন। মোটকথা মাদকের ভাবনা থেকে মনকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে হবে। কোনো না-কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন।
মাদকমুক্ত থাকতে নিজের সঙ্গে করতে হয় যুদ্ধ । এটি প্রতিদিনের যুদ্ধ। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শপথ নেবেন, যেন আজকের দিনটা আপনার ভালো যায়। প্রতি মাসে ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠান হয়। এখানে অবশ্যই প্রতি মাসে আশার চেষ্টা করবেন। এভাবে প্রায় দুই বছর সময় পার করতে পারলে আপনি সম্পূর্ণ ভালো হয়েছেন বলা যাবে। তবে আপনার ইচ্ছাশক্তিকে অবিচল রাখতে হবে।
প্রশ্ন: আমি পাঁচ বছর ধরে মাদক গ্রহণ করি। এখন ভালো আছি। কিন্তু হঠাৎ মাদক নিতে ইচ্ছা করে। তখন থাকতেই পারি না। জোর করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে আমি দেখেছি খেলাধুলা করলে মাদকের কথা ভুলে যাই। নিজের কাছেও ভালো লাগে। আমি কী খেলাধুলা করতে পারি?
উত্তর: আপনাকে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কারণ, আপনার মাদক নেওয়ার যথেষ্ট ইচ্ছা হলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এটি হচ্ছে বিজয়ীদের লক্ষণ। আমরা বলব আপনি মাদকের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। আমরা আশা করি, আপনি আর কখনো মাদক গ্রহণ করবেন না।
আপনার প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাদকমুক্ত থাকার যতগুলো পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে খেলাধুলা অন্যতম। আপনার মাদক নিতে ইচ্ছা করছে। আপনি খোলা মাঠে চলে যান। একটি বলকে জোরে পা দিয়ে আঘাত করে দূরে পাঠিয়ে দেন। দেখবেন মনটা অনেক বড় হয়ে যাবে। আকাশের মতো খোলামেলা হয়ে যাবে। মাদকের কথা মনেই আসবে না।
খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরের ফিটনেস বৃদ্ধি পাবে। খাদ্য-খাবারের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ঘুম বেড়ে যাবে। আপনি অনেক সুস্থতা বোধ করবেন। নিশ্চিন্ত মনে আপনাকে খেলাধুলা করতে বলব। যারা মাদকাসক্ত তারাও যদি খেলাধুলা করে তারাও দ্রুত মাদকমুক্ত হতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
প্রশ্ন: কোনো খেলাধুলায় বিধিনিষেধ আছে কি না। সব ধরনের খেলাধুলা কি করা যাবে?
উত্তর: আপনার সামর্থ্য থাকলে সব ধরনের খেলায় অংশ নিন। আপনার শরীর ও মন বলে দেবে কোনটি খেলবেন, কোনটি খেলবেন না। নিশ্চয়ই ঝুঁকিপূর্ণ এমন খেলা খেলবেন না। যা আপনাকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দেয়। তবে শারীরিক সামর্থ্য থাকলে ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট—সবই খেলতে পারেন। এখন শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলতে পারেন।
সুযোগ থাকলে সাঁতার কাটতে পারেন। সাঁতরানো শরীরের ফিটনেসের জন্য বেশ ভালো। আবার ঘরে যেসব খেলা আছে সেগুলোও খেলতে পারেন। যেমন—দাবা, কেরাম, লুডু ইত্যাদি। তবে বাইরের খেলাগুলো খুবই ফলপ্রসূ। আমরা মনে করি, আপনার মতো যাঁরা ভালো আছেন এবং মাঝেমধ্যে মাদক নিতে ইচ্ছা হয়, তাঁদের জন্য খেলাধুলা খুবই ফলপ্রসূ।
প্রশ্ন: অনেক মাদকাসক্ত রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। তারা মাদক ছেড়ে দিতে চায়। কিন্তু পরিবারের অভিভাবক তাদের সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করে না। তাদের ভুল বোঝে। অতিরিক্ত বকাঝকা করে। সে আবার মাদকের পথেই ফিরে যায়। এ ক্ষেত্রে পরিবারের দায়িত্ব কী?
উত্তর: মাদক নিক বা না নিক, কোনো অবস্থায়ই অভিভাবকের অতিরিক্ত বকাঝকা করা উচিত নয়। মাদকাসক্ত রোগীরা এমনিতেই বেশি স্পর্শকাতর থাকে। তাদের নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। প্রতিনিয়ত মাদক গ্রহণের ফলে তারা মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। একটা বিষয় অভিভাবকসহ সবাইকে মনে রাখতে হবে, মাদকাসক্ত রোগীর সঙ্গে কখনোই খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ, এটা পরীক্ষিত সত্য যে বকাঝকা করে অন্তত মাদকাসক্ত রোগীকে ভালো করা যাবে না। তাদের সঙ্গে সব অবস্থায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
মাদকাসক্ত রোগীদের বোঝানোর কোনো বিকল্প নেই। তাদের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে মিশে যেতে হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। তাদের প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দিতে হবে। তারা নিজেরা যদি ফিরে আসতে চায়। মাদকাসক্ত রোগীদের ভালো করার জন্য এর থেকে ভালো সুযোগ আর হতে পারে না। তাই মা-বাবাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এদের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।
প্রশ্ন: আমার সন্তান মাদকাসক্ত। বন্ধুরা ডেকে নিয়ে মাদক খাইয়েছে। এখন সে ভালো হতে চায়। কীভাবে তাকে ভালো করতে পারব?
উত্তর: আপনার জন্য স্বস্তির বিষয় হলো, আপনার সন্তান ভালো হতে চায়। আমরা সব সময় বলে থাকি এটা কঠিন কোনো রোগ না। অন্য দশটা রোগের মতোই একটা রোগ। ঠিকমতো চিকিৎসা করলে, নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই মাদকাসক্ত রোগী ভালো হয়। কেউ যদি নিজ থেকে ভালো হতে চায়, তা হলে কাজটি অনেক সহজ হয়। রোগী যখনই ভালো হতে চায় তখন এ সুযোগ নষ্ট করা চলবে না। আপনার সন্তান ভালো হতে চেয়েছে। তাকে এখনই ভালো কোনো চিকিৎসকের কাছে নিন। মাদকাসক্ত রোগীর জন্য চিকিৎসা থেকে বড় কাজ হচ্ছে নিয়ম মেনে চলা। দেড় থেকে দুই বছর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। আপনি বলেছেন বন্ধুরা ডেকে নিয়ে মাদক খাওয়ায়। মাদকাসক্ত রোগীর ভালো থাকার কতগুলো শর্ত আছে। তার মধ্যে এক নম্বর হলো, মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে না মেশা। তাদের সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা, টাকাপয়সা না দেওয়া, মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা, তার সব কাজের সঙ্গে কেউ না-কেউ থাকা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বন্ধুদের কীভাবে এড়িয়ে চলবে? ঘর থেকে বের হলেই তাদের সঙ্গে দেখা হবে। আর দেখা হলে কী করবে?
উত্তর: মাদকমুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই মাদকাসক্ত বন্ধুদের এড়িয়ে চলতে হবে। যারা মাদক নেয় ও মাদক নিতে বলে, তারা কোনো বন্ধু না। এক অর্থে তারা শত্রু। অতএব, শত্রুকে এড়িয়ে চলতেই হবে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি অধিকাংশ মাদকাসক্ত রোগীই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদক নিয়েছে। একবার মাদকের ফাঁদে পড়ে গেলে আর ফিরে আসতে পারে না। কখনো যদি মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, তা হলে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে, ‘তোমরা আর কখনো আমাকে মাদক নিতে বলো না। আমি মাদক ছেড়ে দিয়েছি। মাদক আমার জীবনে অনেক স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। তোমরাও মাদক ছেড়ে দাও। আমরা সবাই মাদক গ্রহণের আগের জীবনে ফিরে যাই। যেখানে সুখ, স্বপ্ন ও আনন্দ ছিল।’ বলার সময় কথার মধ্যে যেন দৃঢ়তা থাকে; যাতে বন্ধুরা তার সত্যিকার অর্থে মাদক ছাড়ার বিষয়টি বুঝতে পারে। কাউকে রূঢ়ভাবে বললে সে কষ্ট পাবে। কৌশলে যে মাদক ছাড়তে চাচ্ছে, তাকে মাদক গ্রহণের চেষ্টা করবে।
প্রশ্ন: মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরও আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধব আছে। তাদের টাকাপয়সা ও যোগাযোগ প্রয়োজন। আপনারা টাকাপয়সা না দিতে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। তা হলে তারা কীভাবে চলবে?
উত্তর: একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা না দিতে বলি। এই সময়টা দেড় থেকে দুই বছর। মাদকাসক্ত রোগীদের আচরণ অন্য রোগীদের থেকে আলাদা। এ সময় তাদের যা কিছু প্রয়োজন, অভিভাবককে কিনে দিতে হবে। বা অভিভাবক সঙ্গে থেকে কিনে দেবেন। আত্মীয়স্বজন বা ভালো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন হলে অভিভাবকের সামনে কথা বলবে। অর্থাৎ তাদের সব প্রয়োজন মেটানোর সঙ্গে অভিভাবকেরা সঙ্গে থাকবেন। মাদকাসক্ত রোগীদের কাছে টাকাপয়সা থাকলে তারা প্রথমেই মাদক কেনার কথা চিন্তা করবে। কোনো না-কোনোভাবে তার মাদকের কাছে যেতে পারে। হাতের টাকা তাদের মাদক নেওয়ার নেশা তৈরিতে সাহায্য করে। মোবাইলের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। মোবাইল থাকলে তারা মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আবার পুরোনো বন্ধুদের কাছে ফিরে যাবে এবং পুনরায় মাদকাসক্ত হবে।
এ জন্য আমরা বলি, মাদকাসক্ত রোগী যারা একবার ভালো হয়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে ভালো থাকার উপায় হলো কমপক্ষে দুই বছর একটা নিয়মের মধ্যে চলতে হবে। এ নিয়মের মধ্যে রয়েছে, টাকাপয়সা ব্যবহার না করা, মোবাইল ব্যবহার না করা, পুরোনো বন্ধুদের সংস্পর্শ সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করা, মাদক গ্রহণ করার জায়গাগুলোয় না যাওয়া, চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা ইত্যাদি।
সঞ্চালনা: ফেরদৌস ফয়সাল
গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান