মাদকমুক্ত থাকতে নিজের সঙ্গে করতে হয় যুদ্ধ

(বাঁ থেকে) জিল্লুর রহমান খান, ফারজানা রহমান, মেখলা সরকার, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, অভ্রদাশ ভৌমিক ও সিফাত–ই–সাঈদ
(বাঁ থেকে) জিল্লুর রহমান খান, ফারজানা রহমান, মেখলা সরকার, মোহিত কামাল, ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, অভ্রদাশ ভৌমিক ও সিফাত–ই–সাঈদ

প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ২৪ জানুয়ারি বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৫৬-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

শুরুতে মোহিত কামাল সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, কয়েক বছর আমরা এ অনুষ্ঠান করছি। আপনারা পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরাও সর্বতোভাবে আপনাদের সহযোগিতা করতে চেষ্টা করি। পরিবার হচ্ছে সন্তানকে গড়ে তোলার প্রথম পাঠশালা। ছোট বেলা থেকেই সন্তানদের প্রতি যত্ন নিতে হবে। পরিবার থেকে নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষা জরুরি। পরিবারের সবার মধ্যে ভালো পারিবারিক বন্ধন তৈরি করতে হবে। সন্তানদের পরিবার থেকে যেকোনো অন্যায়কে না বলার শিক্ষা দিতে হবে। মা-বাবাকে সন্তানদের কার্যকর সময় দিতে হবে। সব সময় তাদের ভালো-মন্দ সব ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে হবে। এভাবে সন্তানদের দেখাশোনা করলে বড় হয়ে সন্তানরা খারাপ পথে যাবে না।

প্রশ্ন: আমি আট বছর ধরে মাদকাসক্ত। কেন মাদক নিতাম জানি না। কয়েক মাস হলো মাদক ছেড়েছি। এখন কী করণীয়?
সমাধান: মাদক ছাড়ার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। মাদকাসক্ত রোগ অন্য সাধারণ রোগের মতো না। অন্য অসুখ থেকে কেউ মুক্তি পেলেও তা ফিরে আসা নিয়ে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকে না। কিন্তু কেউ মাদক ছেড়ে দিলে যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাদকাসক্ত রোগটি বারবার ফিরে আসে। আপনি এখনও মাদকাসক্ত হওয়ার ঝঁুকিতে আছেন। আমরা বলি, কেউ মাদক ছেড়ে দেওয়ার পর কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর মাদক গ্রহণ না করলে তিনি মাদকমুক্ত আছেন। মাদকমুক্ত থাকতে নিজের সঙ্গে করতে হয় যুদ্ধ। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। তা না হলে যেকোনো সময় আবার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। অনেকেরই এমন হয়েছে। প্রতি মাসে আমাদের এ অনুষ্ঠানে আসতে পারেন। আবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আসতে পারেন।

প্রশ্ন: আমি ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল— সবই খেয়েছি। এখন মাদক নিই না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট খাই। বন্ধুদের জন্য সিগারেট খেতে হয়। এখন কী করব?
সমাধান: মাদক ছেড়ে দিলে কেউ মাদকমুক্ত হয়েছে এটা কখনোই বলা যাবে না। কারণ, মাদক ছাড়ার পরও দীর্ঘদিন মাদকের প্রভাব শরীরে থাকে। তাই যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর সিগারেট নিজেই একটা মাদক। সিগারেট মাদক থেকেও ভয়ংকর। ভয়ংকর এ জন্য যে, অধিকাংশ মাদকাসক্ত সিগারেটের নেশা থেকেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে গেছে। মাদকমুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না হলে সিগারেটের নেশা আবার আপনাকে মাদকের দিকে নিয়ে যাবে।
আপনি যেহেতু মাদক ছেড়েছেন, তাই সিগারেট ছাড়া আপনার জন্য খুব সহজ। মাদক ছেড়ে দিলে কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়। আবার মাদক না নিলে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়। কিন্তু সিগারেটে এমন কিছু হয় না। শারীরিক কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। সিগারেটের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক। কেবল মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, সহজেই সিগারেট ছাড়তে পারবেন।
মনের দিক থেকে শক্তভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমি আর কোনো দিন সিগারেট খাব না। মাত্র এক থেকে দুই সপ্তাহ না খেলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এরপরও কোনো সমস্যা থাকলে নিকোটিন গামসহ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শে এগুলো খেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমার সন্তান দীর্ঘদিন মাদকাসক্ত। এখন মাদক ছেড়েছে। নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মেশে। ওর জন্য আমাদের করণীয় কী?
সমাধান: আপনার সন্তান সম্প্রতি মাদক ছেড়েছে। সে এখনও সম্পূর্ণ ঝঁুকির মধ্যে আছে। যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। মাদক ছাড়ার পরও শরীরে মাদকের ভীষণ প্রভাব থাকে। তাই যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হতে পারে। পুরোনো বা মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে থাকলেও মাদক গ্রহণের ঝঁুকি থাকে। কেবল মাদক ছেড়ে দিলে তাকে বলে রিকভারি। কমপক্ষে এক বছর না নিলে তাকে বলে আরলি রিকভারি। দুই বছর মাদক না নিলে তাকে বলা হয় সাসটেইন রিকভারি। আপনার সন্তান প্রাথমিক রিকভারি পর্যায়ে আছে। তাই সবসময় তার দেখাশোনা করতে হবে। তত্ত্বাবধান করতে হবে। কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে সব ধরনের খোঁজখবর রাখতে হবে।
পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই মিশতে দেওয়া যাবে না। তাকে কোনো না কোনো ভালো রিহ্যাব সেন্টার অথবা মাদক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে থাকতে হবে। অবশ্যই পুরোনো বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বন্ধুদের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তাকে দেখলেই মাদক নিতে ইচ্ছে করবে। মাদকের ভাষায় একে বলে ‘ট্রিগার অন’। অর্থাৎ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিশলে, যেসব জায়গায় মাদক নিত সেসব জায়গায় গেলে, কাউকে মাদক নিতে দেখলে, হাতে টাকাপয়সা থাকলে, মুঠোফোন ব্যবহার করলে এমনকি মাদকের ছবি দেখলেও তার মাদক গ্রহণের প্রবল ইচ্ছে তৈরি হবে। তাই পুরোনো বন্ধুসহ ক্ষতিকর অনেক কিছুই জীবন থেকে বাদ দিতে হবে।
পরিচ্ছন্নভাবে দুই বছর সময় অতিবাহিত করতে পারলে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত হতে পারবে। আমাদের এ অনুষ্ঠানে প্রতিমাসে একবার আনতে পারেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিতে পারেন। তা হলে তার মাদকমুক্ত থাকার মানসিক শক্তি বাড়তে থাকবে।

প্রশ্ন: আমি ছয়-সাত বছর মাদক নিয়েছি। এখন বন্ধ করেছি। কিন্তু মা-বাবা সন্দেহ করে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরলেই মনে করে মাদক গ্রহণ করেছি। বকাঝকাও করে। এখন কী করতে পারি?
সমাধান: মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন না করলে যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। আপনি অনেক বছর মাদকাসক্ত ছিলেন। মা-বাবাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছেন। অনেক টাকাপয়সা নষ্ট করেছেন। জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এ জন্য হঠাৎ করে তাঁরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁদের আস্থা অর্জনের জন্য আপনাকেও কিছু করতে হবে। তাঁদের প্রতি আপনাকে আরও বেশি বিনয়ী হতে হবে। তাঁদের কথা ঠিকভাবে শুনতে হবে। রাতে বাসায় ফেরা বন্ধ করুন। আপনার চলাফেরা, আচরণ, খারাপ— সব কিছু বদলে ফেলুন। এমন কাজ করুন, যাতে তাঁরা বিশ্বাস করতে পারেন আপনি আর এখন মাদক নিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন মা-বাবাকে দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রেখেছেন। অশান্তির মধ্যে রেখেছেন। তাই খুব সহজে আপনার প্রতি আস্থা ফিরে আসবে, এটা ঠিক না। আপনার প্রতি বিশ্বাস ফিরে আসার আস্থা আপনাকেই অর্জন করতে হবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ইয়াবা খাই। কিছুদিন খাওয়ার পর ক্ষতিকর দিকগুলি বুঝতে পারি। এখন ছাড়তে চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। কীভাবে ইয়াবা ছাড়তে পারব?
সমাধান: ইয়াবা সম্পর্কে কিছু মিথ্যা ধারণা আছে। এটা খেলে ব্রেনে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলক অনুভব হয়। বিভিন্ন রকম আনন্দ পাওয়া যায়। কয়েক দিন খেলে মানুষ ইয়াবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যায়। তারপর ইয়াবা ছাড়তে চাইলেও সহজে ছাড়া যায় না। ছেড়ে দিলে ঘুম আসে। শক্তিহীন লাগে। কোনো কিছুতে উদ্যম পাওয়া যায় না। সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তখন আবার ইয়াবা নিতে বাধ্য হয়। আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো নিজেই ছাড়তে চাচ্ছেন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো মাদকাসক্ত রোগী যদি নিজে ছাড়তে চায়, তা হলে সে অবশ্যই মাদক থেকে ফিরে আসতে পারে। আপনার পুরোনো বন্ধু, মুঠোফোন, টাকা, যে জায়গায় মাদক নিতেন, যে সময় মাদক নিতেন— এসব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: আমার স্বামী ২০ বছর ধরে মাদক নিচ্ছে। সাত-আট বছর ধরে খুব বেশি নিচ্ছে। তার লিভারের অবস্থা খুব খারাপ। মাঝেমধ্যে উত্তেজিত হয়ে যায়। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কী করব?
সমাধান: আপনার স্বামীর লিভারের অবস্থা খারাপ। সম্ভবত অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলেই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর মাদক গ্রহণ করা অত্যন্ত ঝঁুকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আরও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাঁর লিভার ও মাদক দুই ধরনের চিকিৎসারই প্রয়োজন হবে। পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যরা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।

প্রশ্ন: আমার ছেলে প্রায় সাত বছর ধরে মাদক নেয়। চিকিৎসা করিয়েছি। ভালো হয় না। রাত জাগে। দিনে ঘুমায়। টাকাপয়সার জন্য সবসময় চাপ দেয়। পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করে না। ঢাকায় নিয়ে এসেছি। সে আবার এলাকায় ফিরে যেতে চায়। এখন কী করব?
সমাধান: মাদক চিকিৎসার পর যে কেউ পুনরায় মাদকাসক্ত হতে পারে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আপনাদের ধৈর্যে্যর সঙ্গে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্ত রোগী নিশ্চিতভাবে ভালো হয়। প্রয়োজন ধৈর্যে্যর সঙ্গে চিকিৎসা করা। সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। ভালো হয় পারিবারিকভাবে সবাই তার সঙ্গে কথা বলা। তার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। সে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। তার নিজের ওপর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ আসে সে ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: আমার ভাই এক বছর হলো বিয়ে করেছে। প্রচুর ইয়াবা খায়। বাসায় ভাঙচুর করে। অনেক টাকা খরচ করে। আবার ব্যবসা করার জন্য টাকা চায়।
সমাধান: মাদকাসক্তেরা চিকিৎসা করতে চায় না। তারা মনে করে, তারা ভালো আছে। চিকিৎসার দরকার নেই। টাকা নষ্ট করবে। ব্যবসা করবে নানা অজুহাত দেখাবে। তার সব কিছু মানা যাবে না। তার সমালোচনা করার দরকার নেই। এটা ধোঁয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে যায়, রক্তে যায়, ব্রেনে যায়। এটা একটা মানব বোমা। মানুষের মধ্যে ঢুকে মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকাসক্তের ফলে ধীরে ধীরে দানবে পরিণত হয়। তখন সে নানা ধরনের অমানবিক কাজ করতে থাকে। তাকে যে করেই হোক চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।

প্রশ্ন: আমি সিগারেট খাই। এখন ছাড়তে চাই। কিন্তু পারছি না। কীভাবে সিগারেট থেকে মুক্ত থাকব?
সমাধান: অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মাদকাসক্তদের অধিকাংশই ধূমপানের মাধ্যমে নেশায় জড়িয়েছে। ধূমপান না করলে মাদক গ্রহণের আশঙ্কা অনেকাংশে কম হতো। তা ছাড়া ধূমপানেরই মারাত্মক ক্ষতি রয়েছে। কোনো বাবা যদি ধূমপান করেন, তাহলে তাঁর স্ত্রীর ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে। সন্তানের শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ (ব্রঙ্কাইটিস) হতে পারে, সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। ধূমপানের উল্লেখযোগ্য কিছু ক্ষতিকর দিক হলো, ফুসফুসে ক্যানসার, মুখে ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, স্ট্রোক, বিকলাঙ্গ ইত্যাদি। এক জরিপে দেখা গেছে, ধূমপানের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুখের ক্যানসার হয় বাংলাদেশে। দিয়াশলাই, সিগারেট যেখানে থাকে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলুন। তেঁতুলের চকোলেট, পোলো, দারুচিনি এগুলো জিহ্বায় রাখতে পারেন। কোনো ভাবে ছাড়তে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খেতে হবে। সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকা এবং বিনোদন মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন যাঁরা:
মোহিত কামাল, অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
অভ্রদাশ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মেখলা সরকার, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
ফারজানা রহমান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
মো. জিল্লুর রহমান খান, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
সিফাত–ই–সাইদ, মেনারোগ চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ব্রাদার রোনাল্ড ড্রাহোজাল, নির্বাহী পরিচালক, আপন
সঞ্চালনা: ফেরদৌস ফয়সাল, গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান

পরবর্তী অনুষ্ঠান
পরামর্শ সহায়তা-৫৭
তারিখ: ৭ ফেব্রুয়ারি
সময়: বিকেল চারটা
স্থান: ডব্লিউভিএ মিলনায়তন
বাড়ি: ২০, ধানমন্ডি ২৭, ঢাকা
যোগাযোগ: ০১৭১৬২৪২২১৫

প্রথম আলো মাদকবিরোধী আন্দোলন