‘ধার কইরা আবার আবাদ করছি’

শেরপুরে প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বন্যার্ত মানুষ। গতকাল সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
ছবি: দেবাশীষ সাহা রায়

চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন চর মোচারিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। কৃষিনির্ভর এ ইউনিয়নে ধান ও শাকসবজির আবাদ ভালো হয়। কিন্তু বন্যায় অধিকাংশ খেত পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে আমন বীজতলা ও সবজির আবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকেরা চরম বিপাকে পড়েন। তবে এখন পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও খেতে নেমেছেন কৃষক। আবাদ করতে ধারদেনা করতে হচ্ছে তাঁদের।

গতকাল রোববার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দেওয়া ত্রাণ নিতে আসা লোকজন এসব কথা জানালেন। তাঁদেরই একজন হরিণধরা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ শতাংশ জমিতে আমন বীজতলা করছিলাম। বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ বীজতলা নষ্ট হয়া যায়। পানি কইমা যাওয়ার পর ধারদেনা কইরা আবার আবাদ করছি।’

চর মোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর, হরিণধরা, টানকাছার ও টালিয়াপাড়া এবং শেরপুর পৌরসভার কয়েকটি এলাকার বানভাসী ১০০টি পরিবারের মধ্যে গতকাল ত্রাণ বিতরণ করা হয়। মুন্সীরচর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও পশ্চিমশেরী এলাকার একটি খোলা স্থানে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন শেরপুরের প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা। বিতরণ করা ত্রাণের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, লবণ ও সয়াবিন তেল। ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেন ক্রীড়া সংগঠক কামাল হোসেন, শেরপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

ত্রাণ পেয়ে মুন্সীরচর গ্রামের দিনমজুর ফজু মিয়া (৫০) বলেন, ‘দিনমজুরি কইরা সংসার চালাইতাম। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট কইরা পা ভাইঙ্গা যাওয়ায় কাজকাম করবার পারি না। এর মইদ্দেই আইলো বন্যা। অহন খায়া না–খায়া দিন কাটাইতাছি।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।