ত্রাণ নিতে এসেছিলেন পেঁচাকোলা গ্রামের তাঁতশ্রমিক রাবেয়া খাতুন (৩৫)। তাঁর স্বামী দিনমজুর। দুজনের আয়ে কোনোরকমে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। করোনা ও বন্যার হানায় তিন-চার মাস ধরে উপার্জন একেবারেই বন্ধ। এদিকে বন্যায় বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার পর বসতঘরটিও ভেঙে গেছে। রাবেয়া বলেন, ‘একদিকে করোনা, আরেক দিকে বন্যা। বেকার হয়া বইস্যা আছি ম্যালা দিন ধইর্যা। এর মধ্যে বন্যায় ভাইঙ্যা পড়া ঘরই সারব, না চাল-ডাল কেনব, তা নিয়্যা অস্থির হয়া আছি।’
একই গ্রামের বেলি খাতুন (৬০) একটি ইটের ভাটায় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। বন্যার কারণে ভাটাটি ডুবে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি বেকার। বেলি বলেন, ‘বেকার হয়া বইস্যা থাকায় ঘরে চাল-ডাল নাই। এমন কষ্টের সময় কেউ খোঁজ নেয় নাই। রিলিপের এই চাল-ডাল কয়ডা পায়া খুবই উপকার হলো।’
নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া আমেনা খাতুন (৮৫) ছেলের সঙ্গে বাস করেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, ‘ছাওয়ালডা (ছেলেটা) বেকার হয়া বইস্যা থাকায় খাওয়াদাওয়ার খুব কষ্ট হতেছে। তুমাগরে রিলিপ পাইয়্যা কয়ডা দিন শান্তিতে থাকা যাবি।’
ত্রাণ বিতরণে অংশ নেন দুদুলিয়াকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রাহা, বেড়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামানসহ বন্ধুসভার সদস্যরা।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।