আন্দরিয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ নিতে এসেছিলেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আলেয়া বিবি। স্বামী নেই, দুই ছেলের পৃথক সংসার। ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাত দিন মানুষের বাড়িত চ্যায়ে-চিন্তে খ্যাতাম। করোনা আর বানের কারণে অ্যাখন সবার অবস্থা খারাপ। মানুষের বাড়িত খাবার চ্যায়েও এখন পাওয়া যায় না। দেড় মাসে পরিষদ থ্যাকে মাত্র একবার তিরান পাছিলাম। সেই দিয়ে দিন সাতেক চলছে।’
গ্রামবাসী জানান, জুলাইয়ে যখন বান হানা দেয়, তখন খেতে সবজি ছিল, কিছু আমনের চারাও লাগানো হয়েছিল। বানের পানিতে কিছুই রক্ষা করা যায়নি, সবই নষ্ট হয়েছে।
ত্রাণ পেয়ে কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছইফ উদ্দিন (৩৮) বলেন, ‘বানের পানিত খ্যাতের সব ফসল শ্যাষ। এখনো মাঠ পানিত ডুবে আছে। বানের পানির তোড়ত গ্রাম থেকে ব্যার হওয়ার রাস্তা ভ্যাঙে যাওয়ায় আজ দেড় মাস ধর্যে ভ্যানও চালাবার পারি না। অন্য কাজকামও প্যাতেছি না। ছলপল লিয়ে কোনো রকম খ্যায়ে না খ্যায়ে দিন কাটাচ্ছি।’
গতকাল ত্রাণ বিতরণে অংশ নেন প্রথম আলো নওগাঁ বন্ধুসভার সভাপতি অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সহসভাপতি লিনা আলী ও বিষ্ণু কুমার দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক ফারহান শাহরিয়ার বাঁধন প্রমুখ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।