ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ২০ শিক্ষার্থী পাচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের শিক্ষাবৃত্তি

রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন পারভিন বেগম। ভবন ধসের ১১ দিন পর তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর রেখে যাওয়া ছোট্ট পাপিয়া আক্তার এখন দশম শ্রেণিতে পড়ছে। রানা প্লাজা ধসে তার মা পারভিন বেগমের মৃত্যু হয়। তখন পাপিয়া তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তখন থেকে পাপিয়ার পড়ালেখার দায়িত্ব নেয় মেরিল–প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল। পাপিয়ার বাবা রিকশাচালক জাহিদ কাজী মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করাই এখন তাঁর লক্ষ্য।বড় হয়ে পাপিয়া চিকিৎসক হতে চায়। মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়।

পাপিয়ার মতোই পড়াশোনা করে ফিন্যান্সে স্নাতক করছেন খুলনার রেদোয়ান হোসেন। হাসান ইমাম করছেন ডিপ্লোমা। বরিশালের মাহিয়া উজিরপুর উপজেলার সরকারি শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজে একাদশ ও গোপালগঞ্জের খাদিজা আক্তার দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। এরকম ২০ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল।


রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জন, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। দুর্ঘটনায় নিহত পোশাকশ্রমিক ও কর্মচারীদের ২০ জনের সন্তানকে এ তহবিলের অধীনে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এখন তারা পড়াশোনা করছে, এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের স্বপ্নপূরণের পথে।