‘কালীগঙ্গা বাপ-দাদার ভিটামাটি সব খাইছে’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার পাতিলঝাঁপ গ্রামে কালীগঙ্গা নদীর তীরের বর্ন্যাতদের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়। গত রোববার দুপুরে।
ছবি: প্রথম আলো

‘কালীগঙ্গা আমগো বাপ–দাদার ভিটামাটি সব খাইছে। কালীগঙ্গার পাড়ে আমার চাইর শতাংশ ফসলি জমি আছিল। হেই জমিতে গেল বছর শাকসবজি ফলাইসি। এইবার বন্যায় এই জমিটার অর্ধেক নদীতে চইল্যা গেল। জীবন বাঁচানোর লাইগ্যা তিন মাস ধইরা পাতিলঝাঁপ বাজারে বোঝা টানার কাম করি। তাতেও পোলা–মাইয়া নিয়া জীবন চলে না। আপনেগো চাল–ডাল দিয়া দুইডা দিন খাইতে পারুম।’

গত রোববার প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া ত্রাণ পেয়ে এসব কথা বলেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের শোলানগর গ্রামের শেখ মোতালেব (৬০)। এদিন তিনিসহ কালীগঙ্গা নদীর তীরের পাতিলঝাঁপ, বাইশনল, শোলানগর, পশ্চিম পাতিলঝাঁপসহ কয়েকটি গ্রামের ১০০ বানভাসি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করে প্রথম আলো বন্ধুসভার কেরানীগঞ্জ শাখা।

শোল্লা ইউনিয়নের পাতিলঝাঁপ এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রাণ বিতরণ করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান তুহিনুর রহমান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভা কেরানীগঞ্জ শাখার সভাপতি সায়মন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেবেকা সুলতানা, সমাজকর্মী ফারুক হোসেন।

প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া চাল, ডাল ও আলু পেয়ে পশ্চিম পাতিলঝাঁপ গ্রামের অমর্ত্য বেগম (৬৫) জানান, কালীগঙ্গার পাড়ে তাঁর স্বামীর ছয় শতাংশ জমি ছিল, তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্যা। তাই কোনো আয়রোজগার নেই। ছেলের কাজ না থাকায় খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। এই চাল, ডাল ও আলু পেয়ে তাঁদের অন্তত তিন দিন চলে যাবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।