করোনাকালে পড়াশোনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।চলছে না নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম। কিন্তু শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়া তো বন্ধ থাকতে পারে না।শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী আলোর পাঠশালা।

এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ রুটিন তৈরি করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে আসছেন।এতে করে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকের যোগাযোগ বাড়ছে আবার শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতে বসে বিষয়ভিত্তিক সমস্যার সমাধান করতে পারছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রহিমা খাতুন বলেন, নতুন ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রায় চারমাস বিদ্যালয় বন্ধ। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। সব বিষয় বাসায় পড়ে বুঝাও যায় না। কেউ বুঝিয়ে না দিলে সহজ হয়। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকবৃন্দ আমাদের বাসায় এসে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। তারা কোন টাকা নেন না। এতে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের টাকা খরচ করে প্রাইভেট পড়ার সামর্থ নেই। শিক্ষকরা বাসায় এসে পড়াশোনা না বুঝিয়ে দিলে আমাদের পড়াশোনা এগুতো না। বিদ্যালয় থেকে আমরা এরকম সহযোগিতা পাবো ভাবতেই পারিনি।

এ বিষয়ে কথা হয় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনমুনের অভিভাবক মো.রুবেল আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে শিক্ষকবৃন্দ বাসায় এসে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন এটা অনেক বড় পাওয়া। দেশে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এরকম করে কি না আমার জানা নেই।

এমন উদ্যোগের বিষয়ে রাজশাহী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না। আর আমাদের শিক্ষার্থীদের অনলাইনের সংযুক্ত করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তাদের অনেকেরই ফোন নেই।এজন্য তাদের বিষয় ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বাসায় শিক্ষকবৃন্দ যাচ্ছেন। পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগও বাড়ছে। আর না বুঝা বিষয়গুলো তারা বুঝতে পারছে।

সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট আলোর পাঠশালা নামে সারা দেশে ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।