‘এরম কম্বল আগে পাই নাই কুনো দিন’

শীতার্তদের মধ্যে প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল বিতরণ। গতকাল বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আলোকছত্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠেছবি: প্রথম আলো

‘এরম কম্বল আগে পাই নাই কুনো দিন। আবার দিও। অনেক ইচ্ছা ছিল কিন্তু কিনতে পারি নাই’, কম্বল পেয়ে এভাবেই বলছিলেন বড় পলাশী গ্রামের কাজলী বেগম (৫৫)। গতকাল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কাজলীর মতো ২০০ অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার আলোকছত্র উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় বিতরণ করা এসব কম্বল পেয়েছেন প্রসাদ পাড়া, আদিবাসী পাড়া, বড় পলাশী, ছোট পলাশী ও আলোকছত্র গ্রামের শীতার্ত অসহায় মানুষজন।

কম্বল পেয়ে রিশিকুল ইউনিয়নের আদিবাসী পাড়ার আবদুল গফুর (৭০) বলেন, ‘আগের কম্বল ছিঁড়্যা গেছে। শীত যায় না। এইডা নতুন খুব সোন্দর গরম কম্বল। খুব উপকার হইছে।’ আদিবাসী পাড়ার অশীতিপর বৃদ্ধা মুংলী বলেন, ‘খুবই ভালো লাইগছে। এর আগে পাইনি কখনো। মাওড়া আছি। স্বামী মরে গিয়েছে, কিনতে পারি না এসব।’

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোকছত্র উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস, সরনজাই উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান, প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রথম আলো বন্ধুসভা রাজশাহীর উপদেষ্টা ফারুক হোসেন, রাজশাহী বন্ধুসভার সভাপতি বেলাল হোসেন, বন্ধুসভার বন্ধু সুকন্যা খন্দকার, ফরহাদ হোসেন, সুজন মাহমুদ, ঔড়ব আজাদ প্রমুখ।

প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, প্রথম আলো সব সময় সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। বন্যার সময় তারা পীড়িত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়। শীতের সময় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল নিয়ে হাজির হয়। প্রথম আলোর গণিত অলিম্পিয়াড সারা দেশের শিক্ষার্থীদের এখন স্বপ্ন দেখায়। তিনি বলেন, প্রথম আলোর উদ্যোগের কারণেই অ্যাসিডদগ্ধ নারীরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে। তাদের অ্যাসিডবিরোধী অবস্থানের কারণেই দেশে অ্যাসিড নিক্ষেপের হার কমে গেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগ আর ভালোভাবে চলুক এ প্রত্যাশা রাখি।

সরনজাই উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রসাদ পাড়া, আদিবাসী পাড়া, বড় পলাশী, ছোট পলাশী ও আলোকছত্র গোদাগাড়ীর সবচেয়ে নিভৃত গ্রাম। প্রথম আলো এ গ্রামগুলোর গরিব মানুষদের শীতবস্ত্র দেওয়ার জন্য যে খুঁজে বের করেছে, এ জন্য এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা জেলা শহর থেকে গ্রামের এত ভেতরে এসে কীভাবে দুস্থ মানুষদের তালিকা তৈরি করেছে, এটা দেখেই অবাক লাগছে। প্রথম আলোর জন্য শুভকামনা রইল।’

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা

বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে।