প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
এতিম ও দুস্থদের মাঝে শতাধিক কম্বল বিতরণ
শৈশবে মা-বাবাকে হারিয়ে নাজমুল হাসানের (১০) আশ্রয় হয় বৃদ্ধা দাদির কাছে। দাদির অভাবের সংসার। নিজেরই ঠিকমতো দুবেলা খাবার জোটে না। শেষমেশ শিশু নাজমুলের ঠিকানা হয়েছে এতিমখানায়। একটা লেপ-কাঁথা না থাকায় গেল শীতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে তার। গত রোববার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে দেওয়া কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে সে। বলে, ‘শীতত খুব কষ্ট হচে, কম্বলডা প্যায়া খুব ভালো হলো।’
নাজমুল নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের মৃত মাসুদুর রহমানের ছেলে। এখন পড়াশোনা করছে বগুড়া শহরের কালিবালা আহম্মদিয়া সিদ্দিকীয়া কওমি মাদ্রাসায়। নাজমুলের মতোই কম্বল পেয়ে খুশি হয়েছে একই প্রতিষ্ঠানের এতিমখানায় আশ্রয় পাওয়া সিংড়ার রামনগর গ্রামের শিশু ইয়ামিন, হাসিবুল ও রহিম বাদশা। গতকাল প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহযোগিতায় বগুড়ার সদর উপজেলা ও কাহালুর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এতিমখানার শিশু শিক্ষার্থী ও দুস্থ ১১০ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়।
সকালে কাহালুর প্রতাপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হতদরিদ্র শিক্ষার্থী এবং প্রতাপপুর, তালদিঘী, বামুজা ও থলপাড়ার দুস্থ মানুষের মধ্যে ৭০টি কম্বল বিতরণ করেন প্রথম আলো বগুড়া বন্ধুসভা সদস্যরা। এ সময় প্রতাপপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, আল্লামের তাকিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বগুড়া সদরের কালিবালা আহম্মদিয়া সিদ্দিকীয়া হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসা, মাটিডালি শাখারিয়া নামাবালা আব্রাহার নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এতিমখানার ৪০ এতিম শিশুর হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও সরকারি শাহ্ এয়েতেবারিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহম্মেদ, কালিবালা আহম্মদিয়া সিদ্দিকীয়া হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, মাটিডালি শাখারিয়া নামাবালা আব্রাহার নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।