আলোর পাঠশালার কারণে এলাকায় বাল্য বিয়ে কমেছে

মদনপুর আলোর পাঠশালা ভোলার দৌলত খানের মেঘনা নদীর মাঝেরচরের অবস্থিত। এখানে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া করার মত কোন বিদ্যালয় ছিলনা। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা পড়া ছেড়ে দিয়ে পশুপালন, কৃষি কাজ, মাছ ধরার কাজে জড়িয়ে পড়ে।আর্থিক সংকটের কারণে অভিভাবকেরা তাদের ছেলে মেয়েদের অন্য কোথাও নিয়ে লেখা পড়া করাত না। এ অবস্থায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ২০১৩ সালে মদনপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মদনপুর আলোর পাঠশালা নামে প্রথম আলো ট্রাস্ট স্কুলটি পরিচালনা করে।

বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া করার জন্য আলোর পাঠশালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য মো. ফারুক বলেন, আলোর পাঠশালা থাকার কারণে ছাত্র ছাত্রী এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে ।অন্যথায় মেয়েরা বাল্য বিয়ের শিকার হত।

আলোর পাঠশালার কারণে এলাকায় বাল্য বিয়ে কমেছে। ছেলেরা মাছধরা কৃষি কাজ করা এবং নানাবিধ অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ত। অভিভাবকও সচেতন হয়েছেন। তাই এলাকার মানুষ প্রথম আলো ট্রাস্টকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করে।

মদনপুরে সরকার থেকে দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র তিনতলা একটি ভবন তৈরি করা হয়। ওই ভবনে মদনপুর আলোর পাঠশালার কার্যক্রম চলছে।এখানে তিনটি শ্রেনী কক্ষ একটি লাইব্রেরী, চারটি শৌচাগার রয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণী চালু হওয়ার পর দ্বিতীয় তলায় নতুন দুইটি শ্রেণী কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।