পাঠকের মিলনমেলায় ট্রাস্টের স্টলে ভীড় ছিল সারা দিন
প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৪ নভেম্বর শুক্রবার পাঠকদের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছিল পাঠক উৎসবের। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল অবধি চলে আনন্দঘন এ জমজমাট আয়োজন। শিশু, কিশোর, তরুণ, যুবা ও প্রবীণ-নানা বয়স, শ্রেণি ও পেশার মানুষের পদচারণে উৎসব হয়ে ওঠে পাঠকের মিলনমেলায়।
প্রথম আলো ট্রাস্টের স্টলে সকাল থেকেই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কুইজ, ও মাদকমুক্ত থাকার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, খেলা ও পুরস্কার নানা আয়োজন ছিল। দুজন মনোরোগ চিকিৎসক বিনা মূল্যে মাদকবিরোধী ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ দেন। তাঁরা হলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোহিত কামাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের অধ্যাপক, সাইকোথেরাপি উইং প্রধান, ওসিডি ক্লিনিক ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডা. সুলতানা আলগিন। মাদকবিরোধী ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ১৫ জন পাঠক এই সেবা গ্রহণ করেন।
‘প্যারেন্টিং কখন থেকে শুরু হয়’ বা ‘প্যারেন্টিং স্টাইলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কোনটি’ বা মাদকাসক্তিতে কী ক্ষতি হয়, কুইজ প্রতিযোগিতায় এ রকম কিছু প্রশ্ন ছিল। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর জন্য এই দুই ভাগে কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। কুইজে বিজয়ীদের প্রত্যেককে প্রথম আলোর ম্যাগাজিন দেওয়া হয়। কুইজে প্রাপ্ত নম্বর ৮ এর ওপর হলে স্টলে থাকা ডার্ট বোর্ড, যেখানে ৬ জন লেখকের নাম ছিল। যাঁর নামের ওপর পিন আটকে যাবে তাঁর একটি বই বিজয়ী কুইজ পাঠককে দেওয়া হয়।
অংশগ্রহণকারী একটি টেবিল টেনিস ব্যাটে বল নিয়ে খেলতে খেলতে উত্তর দেন। যিনি সবচেয়ে কম সময়ে বেশি সংখ্যক সঠিক উত্তর দিয়েছেন, তিনি বিজয়ী হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রথম আলো ট্রাস্টের কর্মীদের পাশাপাশি অদম্য মেধাবী স্বেচ্ছাসেবক সারা দিন এই স্টলে ছিলেন।
প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ উৎসব আয়োজনের লক্ষ্য ছিল পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী, হকার—সব মিলিয়ে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি। করোনাকালে এ ধরনের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, নতুন স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত হয়েছে মানুষ।