মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিলেন মিলি

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত খাদিজা আক্তার মিলি।
ছবি: প্রথম আলো।

খাদিজা আক্তার মিলি সাভার গার্লস স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। খাদিজা আক্তার মিলির বাবা-মা দুজনেই রানা প্লাজায় কাজ করতেন। ঘটনার ১৭দিন আগে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। এরই মধ্যে ঘটে যায় স্মরণকালের ভয়াবহ দূর্ঘটনা। বাবা রাশেদুল ইসলাম মারা যান এই দূর্ঘটনায়। তাঁর বাবার লাশ নম্বর ৬২৬।

খাদিজার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ কাশালিয়া গ্রামে। মা রোকেয়া পারভীনও এই দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে রোকেয়া বেগম সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮ হাজার টাকা বেতনে একটা চাকরি নেন। এই আয় দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর। পরে সব বিবেচনায় তাঁর মেয়েকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। খাদিজা আক্তার মিলি ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।

মা রোকেয়া পারভীন জানালেন, এই সহায়তার মধ্য দিয়ে আমার মেয়ের পড়াশোনা চলছে। বড় হয়ে সে যেন ভালো কিছু করে, ভালো মানুষ হয় সেই দোয়া করবেন আপনারা।’