মা হারানো মাহিয়া এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন

মা হারা মাহিয়া আক্তারকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
ছবি: প্রথম আলো।

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। মাহিয়া ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।মা হারা মাহিয়া আক্তার এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

বরিশালে আগৈলঝরা গৈলা গ্রামে বাবার সঙ্গে থাকেন মাহিয়া আক্তার। বাবা মো. মনির হোসেন ব্যাপারী আবার বিয়ে করেছেন, তবে মাহিয়ার নতুন মা বেশ ভালো। মায়ের মৃত্যুর পর সরকারের পক্ষ থেকে মাহিয়ার পরিবার ৬ লাখ টাকা পেয়েছিলেন। তবে এ টাকা নানা, নানি, মামা, মাহিয়া ও মাহিয়ার বাবার মধ্যে ভাগ হয়েছে। মাহিয়া আর মাহিয়ার বাবা যে ভাগ পেয়েছেন, তা থেকে আগের ঋণ পরিশোধসহ অন্যান্য খরচ মেটাতেই শেষ হয়ে গেছে। পরে সব বিবেচনায় মাহিয়া আক্তারকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

মাহিয়া আক্তারের মা ময়না বেগমের লাশ গলে গিয়েছিল। তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট মাহিয়াকে মায়ের লাশ দেখানো হয়নি। মা-বাবা ঢাকায় কাজ করতেন বলে মাহিয়া বরিশালে দাদির সঙ্গে থাকতেন।

মায়ের নাকি মাহিয়াকে দেখতে ইচ্ছে করছিল। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এক মামার সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি । দুর্ঘটনার দিন তাঁর মা মাহিয়ার হাতে কিছু টাকা দিয়ে বলেছিলেন, দোকান থেকে কিছু একটা কিনে খেতে। বলে যান, সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে মাহিয়ার জন্য ভালো খাবার আনবেন। মাহিয়ার এখনো মনে আছে, রানা প্লাজা ধসে মা মারা যাওয়ার দুই দিন আগে বরিশাল থেকে মাহিয়াকে সাভারে এনেছিলেন মা।