‘আমি ২০২১ সালে পরীক্ষা দিয়ে বানিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করি। বর্তমানে সাভার অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পড়ছি । আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই’- এভাবে নিজের কথা জানালেন কামরুজ্জামান রোহান। মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় আহত ও নিহত পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। কামরুজ্জামানা রোহান ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।
কামরুজ্জামানা রোহানের বাবা কামাল হোসেন রানা প্লাজার ৮ তলায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে নিহত হন তিনি। ঘটনার ১০দিন পর অধর চন্দ্র মাঠে তাঁর মৃতদেহ বুঝে পান পরিবার।
রোহানের মা শিউলী বেগম স্থানীয় একটি এনজিও’র মাধ্যমে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর অল্প আয়ে ছেলের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে ছোট কামরুজ্জামান রোহান। পরে তাঁর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রোহানকে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
কামরুজ্জামান রোহান জানালেন ‘ ঈদের উপহার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ধন্যবাদ প্রথম আলো ট্রাস্টকে। আমার পাশে থেকে আমাকে পড়াশোনার জন্য সহযোগিতা করার জন্য। এর ফলে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারছি।’