‘ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই’

শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত খাদিজা আক্তার মিলি।
ছবি: প্রথম আলো।

সাভার ল্যাবরেটরি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছি। নবম শ্রেণিতে ছিলাম তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার পাশে আছে। বেশ কঠিন সময়ে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। আমি বড় হয়ে একজন আদর্শ মানুষ হতে চাই। আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই । ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।এভাবেই নিজের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানালেন খাদিজা আক্তার মিলি ।

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত পোশাক শ্রমিকদের ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। খাদিজা আক্তার মিলি ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।

মিলি সাভার গার্লস স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮৩ পেয়েছেন। খাদিজা আক্তার মিলির বাবা-মা দুজনেই রানা প্লাজায় কাজ করতেন। ঘটনার ১৭ দিন আগে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। এরই মধ্যে ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভবন দূর্ঘটনা। এতে মিলির বাবা রাশেদুল ইসলাম মারা যান।

খাদিজার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ কাশালিয়া গ্রামে। মা রোকেয়া পারভীনও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে রোকেয়া বেগম সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮ হাজার টাকা বেতনে একটা চাকরি নেন। এই আয় দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর। পরে সব বিবেচনায় তাঁর মেয়েকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

খাদিজা আক্তার মিলি জানালেন ঈদের উপহার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। ধন্যবাদ প্রথম আলো ট্রাস্টকে। আমার পাশে থেকে আমাকে পড়াশোনার সহযোগিতা করার জন্য এবং ঈদের উপহারটি দেওয়ার জন্য। যার ফলে আমি সচ্ছলভাবে পড়াশোনা করতে পারছি।