জিপিএ-৪.৮৩ পেলেন পিতৃহারা মিলি

খাদিজা আক্তার মিলি।
ফাইল ছবি।

এসএসসি পাস করেছেন খাদিজা আক্তার মিলি। মিলি সাভার গার্লস স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮৩ পেয়েছেন। খাদিজা আক্তার মিলির বাবা-মা দুজনেই রানা প্লাজায় কাজ করতেন। ঘটনার ১৭ দিন আগে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। এরই মধ্যে ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভবন দূর্ঘটনা। এতে মিলির বাবা রাশেদুল ইসলাম মারা যান।

খাদিজার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ কাশালিয়া গ্রামে। মা রোকেয়া পারভীনও এই দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে রোকেয়া বেগম সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৮ হাজার টাকা বেতনে একটা চাকরি নেন। এই আয় দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর। পরে সব বিবেচনায় তাঁর মেয়েকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

মায়ের সঙ্গে খাদিজা আক্তার মিলি।
ফাইল ছবি।

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। খাদিজা আক্তার মিলি ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।

মা রোকেয়া পারভীন জানালেন , মিলি সাভার গার্লস স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮৩ পেয়েছে। ওর জন্য দোয়া করবেন, যেন ভালো কিছু করতে পারে। ভালো মানুষ হতে পারে।’