কামরুজ্জামানা রোহানের বাবা কামাল হোসেন রানা প্লাজার ৮ তলায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে নিহত হন তিনি। ঘটনার ১০দিন পর অধরচন্দ্র মাঠে তাঁর মৃতদেহ বুঝে পান পরিবার। রোহানের মা শিউলী বেগম স্থানীয় একটি এনজিও’র মাধ্যমে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর অল্প আয়ে ছেলের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। পরে তাঁর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রোহানকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
তাঁর দুই ছেলের মধ্যে ছোট কামরুজ্জামান রোহান। রোহান এবার সাভার জিনিয়াস মডেল স্কুল থেকে বানিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৬১ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। কামরুজ্জামান রোহান ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।
মা শিউলী বেগম জানালেন, কামরুজ্জামান রোহান এসএসসি পাস করেছে, কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে, ওর জন্য দোয়া করবেন।