‘আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই’
সাভার স্কলার্স স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী আমি। বেশ কঠিন সময়ে ৩য় শ্রেণি থেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। আমি আমার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই । ব্যাংকে চাকরি করতে চাই। পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চাই। এভাবেই নিজের জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে জানালেন পাপিয়া আক্তার।
মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় আহত ও নিহত পরিবারের ২০ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন শিক্ষাবৃত্তি। পাপিয়া আক্তার ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় মাকে হারিয়ে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে মেরিল–প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন পাপিয়া । পাপিয়া আক্তারের মা পারভীন বেগম রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত হন। ঘটনার ১০ দিন পর তাঁকে মৃত উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার বেতিবুনিয়া গ্রামে। পারভীন বেগম রানা প্লাজার ৪ তলায় সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। পাপিয়ার বাবা জাহিদ কাজী পেশায় অটো-রিকশাচালক । সাভারের ছায়াবীথি এলাকায় মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকেন।
পাপিয়া আক্তার জানালেন, ‘আমার পাশে থেকে আমাকে পড়াশোনার সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ প্রথম আলো ট্রাস্টকে। ঈদের উপহার পেয়ে ভীষণ আনন্দিত।’