মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে করপোরেট চাকরি করতে চান রেদোয়ান

রেদোয়ান হোসাইন।

রেদোয়ান হোসাইন যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন রানা প্লাজা ভবন ধসে বাবাকে হারান। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি বাবাকে হারিয়ে তাদের পরিবারে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। সংকটকালীন সময়ে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়। রেদোয়ানকে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বৃত্তিপ্রাপ্ত রেদোয়ান এ বছর সফলতার সঙ্গে ঢাকার নিউ মডেল কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মন্ন করেছেন।

রেদোয়ান হোসাইনের বাড়ি খুলনা সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গায়। বাবা ইউসুফ রানা প্রডাকশন ম্যানেজার হিসেবে রানা প্লাজার অষ্টম তলায় চাকরি করতেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে । ভবন ধসের ১৩ দিন পর ইউসুফ রানার লাশ পাওয়া যায়। বর্তমানে মা হোসনে আরা ও ছোটবোন রাফসা আক্তারসহ সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় বসবাস করছেন রেদওয়ান।

এ প্রসঙ্গে রেদওয়ান হোসেন বলেন, সেই সময় প্রথম আলো ট্রাস্ট পাশে না দাঁড়ালে আজ আমি স্নাতক পাশ করতে পারতাম না। বাবার ইচ্ছা ছিল, আমাকে পুরকৌশল বিষয়ে পড়াবেন। বাবার সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। কিন্তু জীবনতো থেমে থাকে না। আমি ভবিষ্যতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর পড়াশোনা করে করপোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাই।’

উল্লেখ্য, রেদোয়ান হোসাইন ২০১৬ সালে জিপিএ-৩.৬৭ পেয়ে এসএসসি এবং ২০১৮ সালে জিপিএ– ৩.৬৭ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত পরিবারগুলোর ২০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। রেদোয়ান হোসাইনের ছোটবোন রাফসা আক্তারও প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন।