পড়ালেখা শেষ করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে চায় হাসান মাহমুদ

হাসান মাহমুদ।

সভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। সেই নিহত শ্রমিকদের একজন ফোরকান হাওলাদার। ঘটনার ১৬ দিন পর তাঁকে মৃত উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার ধোপাকাঠি গ্রামে। বাবাকে অকালে হারিয়ে পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল হাসান মাহমুদ জিসানের। সেই দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায় প্রথম আলো ট্রাস্ট। হাসান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে বাবাকে হারিয়েছি। তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিকে হারিয়ে আমার পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় প্রথম আলো ট্রাস্ট আমাকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়। বৃত্তির টাকায় আমি এসএসসি ও এইসএসসি পাশ করে বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ( অনার্স ১ম বর্ষে) পড়ছি। ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করে আমি পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই।’

মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত পোশাকশ্রমিকদের ২০ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। হাসান মাহমুদ জিসান ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।

হাসানের মা জেসমিন বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে মহাখালীতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাই। প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সহায়তা না পেলে সন্তানদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যেত।’