রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন ফারজানা আক্তার। কিন্তু শিক্ষার পথ থেকে বিচ্যুত হননি তিনি। মায়ের অদম্য ইচ্ছা আর প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে সে। সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ফারজানা বলেন, ‘মা ঘরে বসে সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি আমার শিক্ষার ব্যায় নির্বাহে সহযোগিতা করছে। আমার প্রিয় বিষয় গণিত। আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। মায়ের কষ্ট দূর করতে চাই। পরিবারের দায়িত্ব নিতে চাই।’
মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত পোশাকশ্রমিকদের ২০ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ফারজানা আক্তার ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বাবাকে হারিয়ে ফারজানার পরিবারে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। মেরিল–প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সে। ফারজানা আক্তারের বাবা ফোরকান হাওলাদার রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত হন। ঘটনার ১৬ দিন পর তাঁকে মৃত উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানার ধোপাকাঠি গ্রামে।ফারজানার মা জেসমিন বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে মহাখালীতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সহায়তা না পেলে সন্তানদের পড়াশোনা করানো সম্ভব হতো না।’