রানা প্লাজা ধসে বাবা হারানো খাদিজা উচ্চমাধ্যমিকেও সাফল্য ধরে রাখলেন

মেরিল-প্রথম আলো ট্রাস্ট সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত খাদিজা আক্তার মিলি।
ছবি: প্রথম আলো।

খাদিজা আক্তার মিলির বাবা-মা দুজনেই রানা প্লাজায় কাজ করতেন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় তাঁর বাবা রাশেদুল ইসলাম মারা যান। মা রোকেয়া পারভীনও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে রোকেয়া বেগম সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে স্বল্প বেতনে একটা চাকরি নেন। এই আয় দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর ছিল। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে তাঁর মেয়েকে মেরিল-প্রথম আলো ট্রাস্ট সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়।

শিক্ষাবৃত্তির সহায়তায় সাভার গার্লস স্কুল থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৮৩ পেয়ে উর্ত্তীর্ণ হন মিলি। পরে এইচএসসিতে ভর্তি হন সাভার ল্যাবরেটরি কলেজে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪ পেয়ে সাফল্য ধরে রেখেছেন তিনি। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করছেন বলে জানালেন।

খাদিজা আক্তারের মা রোকেয়া পারভীন বলেন, ‘মেয়েটা অকালে তার বাবাকে হারিয়েছে। তারপরও চেষ্টা করছে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার। এখন ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দোয়া করবেন ওর জন্য।

প্রসঙ্গত, মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত পোশাক শ্রমিকদের ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। খাদিজা আক্তার মিলি ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।