বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মো. আলিফ হাসান জীবন। নির্ধারিত কাপ খেলায় দ্বিতীয় এবং বস্তা খেলায় তৃতীয় হয়েছে আলিফ। আলিফ ‘মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল’ থেকে শিক্ষা বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। আলিফ সাভারের গেন্ডায় অবস্থিত এ্যাবাক পাবলিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক শামীমা আক্তার আদুরীর ছেলে আলিফ।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের মেয়ে শামীমা আক্তার আদুরী রানা প্লাজা ধসে মস্তিষ্কে ও মেরুদণ্ডে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। এখন সাভারে বসবাস করেন, কিছু করেন না। স্বামী বাসের কাউন্টারে কাজ করে সংসার চালান। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আলিফ হাসান জীবন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে বয়স দুই। রানা প্লাজায় আহত শ্রমিক ও তাঁর পারিবারিক অবস্থা বিবেচনায় শামীমা আক্তারের বড় ছেলে আলিফ হাসান জীবনকে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের শিক্ষাবৃত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ছেলের শিক্ষাবৃত্তি পাওয়াতে অনেকটা চিন্তামুক্ত হন শামীমা রসুল দম্পতি।
উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পোশাকশ্রমিকদের ২০ সন্তানকে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই শিক্ষাবৃত্তি শুরু করা হয়। আলিফ হাসান জীবন যুক্ত হয়েছে গেল ডিসেম্বরে। স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাবে এই সহায়তা।