খাদিজা আক্তার মিলির বাবা-মা দুজনেই রানা প্লাজায় কাজ করতেন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মিলির বাবা রাশেদুল ইসলাম মারা যান। মা রোকেয়া পারভীনও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে রোকেয়া বেগম সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে স্বল্প বেতনে একটা চাকরি নেন। এই আয় দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর। পরে সব বিবেচনায় তাঁর মেয়েকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
সাভার গার্লস স্কুল থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৮৩ পেয়ে উর্ত্তীর্ণ হন মিলি। ১৭ আগস্ট ২০২৩ সাভার ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে খাদিজা আক্তার। পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মিলি বলেন, ‘অকালে বাবাকে হারিয়েছি। প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি ও মায়ের অমানুষিক পরিশ্রমে আমার পড়াশোনা চলছে। আমিও পরিশ্রম করছি। এইসএসসি পরীক্ষায় ভালো করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ও আহত পোশাক শ্রমিকদের ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। খাদিজা আক্তার মিলি ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।