মাত্র ছয় বছর বয়সে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় মাকে হারিয়েছেন পাপিয়া আক্তার। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই তাঁর পাশে রয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সাভার স্কলার্স স্কুল থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ–৪.৫৬ পেয়ে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পাপিয়া। বর্তমানে সাভার মডেল কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছে সে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মায়ের স্নেহ পাইনি। পড়াশোনা করেই আমাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। স্বপ্ন দেখি পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরি করবো। পরিবারের দায়িত্ব নেব। আমার পাশে থাকার জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের কাছে আমি কৃতঙ্গ।
প্রসঙ্গত,মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় আহত ও নিহত পরিবারের ২০ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন শিক্ষাবৃত্তি। পাপিয়া আক্তার ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন। পাপিয়া আক্তারের মা পারভীন বেগম রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত হন। ঘটনার ১০ দিন পর তাঁকে মৃত উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার বেতিবুনিয়া গ্রামে। পারভীন বেগম রানা প্লাজার চার তলায় সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। পাপিয়ার বাবা জাহিদ কাজী পেশায় অটো-রিকশাচালক।