‘বাবাকে হারিয়ে কষ্ট পেয়েছি কিন্তু পড়াশোনা থেকে দূরে থাকিনি’

রাজধানীর মিরপুর শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াছিন রহমান মৃদুল।

সাভার রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় বাবাকে অকালে হারিয়েছেন ইয়াছিন রহমান মৃদুল। কিন্তু শিক্ষার পথ থেকে কখনও দূরে সরে যাননি তিনি। রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মৃদুল বলেন,‘ বাবাকে হারিয়ে কষ্ট পেয়েছি কিন্তু  পড়াশোনা থেকে দূরে থাকেনি। এখন বিজ্ঞান বিভাগে দশম শ্রেণীতে পড়ছি।সাভার সহায়তা তহবিল থেকে বৃত্তি পাওয়ায় আমার লেখাপড়া করা অনেক সহজ হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে আমি এবং আমার পরিবার খুব উপকৃত হয়েছি।’

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। সভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। সেই নিহত শ্রমিকদের একজন আতাউর রহমান মোল্লার ছেলে ইয়াছিন রহমান মৃদুল।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পোশাক শ্রমিক এবং কর্মচারীদের ২০ জনের সন্তানকে মেরিল–প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত মৃদুলের বাড়ি মানিকগঞ্জে। তাদের বসত ভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই। সার্বিক বিবেচনায় মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে মৃদুলকে বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রথম শ্রেণির থেকেই মৃদুল বৃত্তি পাচ্ছেন। মৃদুলের মা মুক্তা আক্তার পরিবার নিয়ে বর্তমানে মিরপুর ১৪ নম্বরে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঘরে বসে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করেন জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।