২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল। সভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন। সেই নিহত শ্রমিকদের একজন কামাল হোসেন। তিনি রানা প্লাজার ৮ তলায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার ১০দিন পর অধর চন্দ্র মাঠে তাঁর মৃতদেহ বুঝে পান পরিবার। স্বামীকে অকালে হারিয়ে অকুল পাথারে পড়েন কামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলি বেগম। তাঁর পক্ষে দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ ও সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। শিউলি বেগমের দুই ছেলের মধ্যে ছোট কামরুজ্জামান রোহান। পরে তাঁর সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রোহানকে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
কামরুজ্জামন রোহান ২০২১ সালে বানিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেন। প্রথমে সাভারে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন । পরবর্তী সময়ে পরিবার সাভার থেকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বসবাস করতে শুরু করলে রোহান ইসলামী ব্যাংক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি বাতিল করে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে ( ২০২২–২০২৩) সেশনে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হন। কথা প্রসঙ্গে কামরুজ্জামান রোহান জানান, ‘অনেক কষ্ট করে এতদূর পর্যন্ত এসেছি। শিক্ষার পথ ধরেই আমি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। প্রথম আলো ট্রাস্ট আমাকে এখনো সহযোগিতা করছে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’