মেরিল–প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল
রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট
বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধস। ভবনটিতে অবস্থিত পাঁচ পোশাক কারখানার অন্তত ১ হাজার ১৩৬ শ্রমিক প্রাণ হারান। আহত হন এক হাজারের বেশি শ্রমিক। দুর্ঘটনার প্রথম দিন থেকেই প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা।
রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ২০ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। এই শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে এরই মধ্যে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন দুর্ঘটনায় নিহত ইসমাইল বিশ্বাসের মেয়ে রায়মা জাহান, ডিপ্লোমা শেষ করেছেন ছেলে ইমাম হোসেন। রায়মা ও ইমামসহ পড়াশোনা শেষ হওয়া চারজনের জায়গায় সম্প্রতি নতুন চারজনকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ইউসুফ রানার ছেলে রেদওয়ান হোসাইন ফাইন্যান্সে স্নাতক এবং মেয়ে রাফসা আক্তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। আহত শিলা বেগমের মেয়ে তানজিলা ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে এখন বরিশাল মহিলা কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক করছেন। নিহত ফোরকান হাওলাদারের দুই সন্তান হাসান মাহমুদ স্নাতক ও ফারজানা আক্তার সপ্তম শ্রেণিতে এবং নিহত কামাল হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। খুশি খাতুনের মেয়ে শারমিন আক্তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও ছেলে নয়ন দশম শ্রেণিতে, পারভিন বেগমের মেয়ে পাপিয়া আক্তার এইচএসসি ও রাশেদুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা আক্তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং মনোয়ারা বেগমের মেয়ে মাহবুবা পুষ্প এসএসসি ও রেজাউল করিমের ছেলে মেহেদী এসএসসি পরীক্ষার্থী। আতাউর রহমানের এক ছেলে মৃদুল হোসেন দশম শ্রেণিতে এবং আরেক ছেলে আরাফাত রহমান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মমিনুল ইসলামের মেয়ে মনিকা আক্তার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে ও রিফাত হাসানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস এসএসসি পরীক্ষার্থী। আহত রোজিনা আক্তারের মেয়ে সানজিদা আক্তার সপ্তম শ্রেণিতে, আফরোজা বেগমের ছেলে আরিফ হোসেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে, তানজির আহমেদ অষ্টম ও মিসকাতুল মারিয়া পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার দুই দিন পর ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল ‘মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল’ গঠিত হয়েছিল।