আরও ৪ শিক্ষার্থী পেল সাভার সহায়তা তহবিল শিক্ষাবৃত্তি

প্রথম আলো ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হকের সঙ্গে শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পে সদ্য যুক্ত হওয়া ৪ শিক্ষার্থী। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর কার্যালয়ে।

 আমি রানা প্লাজার ৬ তলায় ইথারটেক্সে সুইং অপারেটর হিসাবে কাজ করতাম। রানা প্লাজা ধসে আমি মারাত্মক আহত হই। আমার পা এখনো প্যারালাইজড ও অবশ। আমার স্বামীর অল্প আয়ে সংসার চালিয়ে মেয়ের পড়াশোনা করানো কষ্টের। এই শিক্ষাবৃত্তি আমার মেয়েকে মানুষ করতে সহায়তা করবে—বললেন রানা প্লাজা ধসের আহত শ্রমিক রোজিনা আক্তার। তাঁর মেয়ে সানজিদা আক্তার মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিলের শিক্ষাবৃত্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

রানা প্লাজায় আহত পোশাকশ্রমিক ও তাঁদের সন্তাদের সঙ্গে প্রথম আলো ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর কার্যালয়ে।

শিক্ষাবৃত্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া আরিফ হাসানের মা আফরোজা বেগম রানা প্লাজার নিউ ওয়েভ স্টাইল-এ সেলাই সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। ঘটনার এত দিন পরও কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি। তাই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ছেলে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ায় অনেকটা চিন্তামুক্ত হয়েছেন আফরোজা বেগম।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রানা প্লাজায় আহত পোশাকশ্রমিকদের আরও ৪ সন্তানকে শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক। নতুন যুক্ত হওয়া ৪ শিক্ষার্থী হলো সানজিদা আক্তার লামিয়া (৭ম শ্রেণি), আরিফ হোসেন (৬ষ্ঠ শ্রেণি) রাফসা আক্তার রাহা (৫ম শ্রেণি) ও আরাফাত রহমান হৃদুল (৪র্থ শ্রেণি)। স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত দেওয়া হবে এই শিক্ষাবৃত্তি।

উল্লেখ্য, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পোশাকশ্রমিকদের ২০ সন্তানকে মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই শিক্ষাবৃত্তি শুরু করা হয়। এই ২০ জনের মধ্যে সম্প্রতি ২ জন পড়াশোনা শেষ করেছেন, ২ জন পড়াশোনা করছেন না। এই চারজনের স্থলে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নতুন চারজনকে স্থলাভিষিক্ত করা হলো।