রানা প্লাজায় আহত পোশাককর্মী শিলার মেয়ে চিকিৎসক হতে চান
শিলা বেগমের স্বামী নিহত হন ২০০৬ সালে। স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। মেয়ে তানজিলার বয়স ছিল তখন মাত্র দুই বছর। উপায় না পেয়ে ২০১১ সালে শিলা বেগম রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় জ্যেষ্ঠ অপারেটর হিসেবে কাজ নেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত বেতনসহ সব মিলে প্রায় ১২ হাজার টাকা পেতেন। মেয়েকে নিয়ে ভালোই চলে যেত দিন। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনায় সব ওলট-পালট হয়ে যায়।
শিলা বেগম জানালেন, ’দুর্ঘটনার সময় তাঁর পেটের ওপর একটি বিম পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। মেরুদণ্ড সোজা করতে পারেন না। ডান হাত প্রায় অকেজো। মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। সরকারের খরচে টানা দুই বছর চিকিৎসা করতে হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহায়তায় চিকিৎসা চলে।’
দুর্ঘটনার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর শিলা বেগমকে উদ্ধার করেছিলেন উদ্ধারকর্মীরা। শিলা এখন সাভারে বোনদের সঙ্গে থাকেন। মেয়ে তানজিলা আক্তার নিপা বরিশালে থাকে তার বড় খালার কাছে। তানজিলা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে, তার ইচ্ছা চিকিৎসক হওয়ার।
মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে রানা প্লাজায় নিহত ২০ পরিবারের ২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন। তানজিলা ওই ২০ জন শিক্ষার্থীর একজন।