দরজির কাজ করে সংসার চালান মুকুল বেগম

মুকুল বেগম
ফাইল ছবি।

মুকুল বেগমের স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেন রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর মৃতদেহ দুর্ঘটনার এক দিন পর পেয়েছিলেন মুকুল বেগম। বিয়ের ১২ বছরের মাথায় স্বামী মারা যাওয়ায় মুকুল বেগম দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। মুকুল বেগম সাভারে বাবার সংসারে আশ্রয় নিয়েছেন। মুকুল বেগমের দরজির কাজ থেমে সামান্য আয় ও পোশাক শ্রমিক ছোট বোনের আয়ে চলছে পুরো পরিবার।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই টাকা তাঁর নামে এফডিআর করে রাখা আছে। লভ্যাংশ দিয়ে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালন তিনি। সরকারের কাছ থেকে যে টাকা পেয়েছেন তা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেছেন। মুকুল বেগম এখন দরজির কাজ করেন।

উল্লেখ্য মেরিল-প্রথম আলো সাভার সহায়তা তহবিল থেকে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে পুনর্বাসনের জন্য ১০০ জনকে দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা করে ও ১ জনকে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রানা প্লাজায় নিহত ব্যক্তিদের ২০ জনের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।