শিশুদের পছন্দের তালিকায় থাকে দোলনা

দোলনায় চড়ে দোল খাচ্ছে শিশুরা।

শৈশব ও কৈশোরে দোলনায় চড়ে দোল খাওয়া কমবেশি সকলেরই প্রিয়। বাড়ির আঙিনায় কোনো গাছের ডালে লম্বা দড়ি টাঙিয়ে দড়ির দুই মাথায় পিড়ি বেঁধে দোল খাওয়া, অথবা বারান্দায় দড়ি দিয়ে চট বা পাটের বস্তা বেঁধে দোল খাওয়া গ্রামের শিশুদের ঐতিহ্যগত খেলার উপকরণ। দোলনা এমন একটি লোভনীয় খেলনা যা দেখলেই হাওয়ায় দোলতে মন দোলে ওঠে। একবার দোল দেয়ার মতো বল প্রয়োগ করলে এটি পেন্ডুলাম ঘড়ির মতো সামনে পিছনে দোলতে থাকে বলেই এটিকে দোলনা বলে।

দোলনায় চড়ে দোল খাচ্ছে শিশুরা।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পে একটি শিশুপার্ক আছে। পার্কটির নাম আরজান-আরিশ শিশুপার্ক। দড়ি হাইরমারা এলাকার ছোট শিশুদের শারীরিক, মানসিক বিকাশ ও বিনোদনের জন্য এ পার্কে রয়েছে বিভিন্ন খেলার উপকরণ।

আরজান-আরিশ শিশু পার্কে শিশুদের জন্য রয়েছে চারটি দোলনা। প্রতিদিন বেলা তিনটা বাজলেই খুলে দেওয়া হয় পার্ক। শিশুদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে দোলনা। কেননা পার্ক খুললেই দোলনার পেছনে শিশুদের লাইন লেগে যায়। মহামারি করোনার জন্য বর্তমানে পার্কটি বন্ধ রয়েছে। এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট এটি পরিচালনা করছে।

লেখক: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামের সাদত স্মৃতি পল্লীর প্রকল্প কর্মকর্তা ।