শিশুদের আনন্দের উৎস আরজান-আরিশ শিশু পার্ক
শিশুদের খেলার জন্য স্থাপন করা হয়েছে আরজান-আরিশ শিশু পার্ক। এটি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দড়িহাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লীতে অবস্থিত। সোমবার ছাড়া প্রতিদিনই বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে। পার্কে একটি বড় খেলনা রয়েছে, একসঙ্গে অনেক শিশু খেলতে পারে সেখানে ।
নরসিংদী সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানালেন, ‘পার্কে রয়েছে অসংখ্য খেলনা, যা দড়িহাইরমারা গ্রামসহ স্থানীয় কয়েকটি গ্রামের শিশুদের খেলার প্রিয় অনুসঙ্গ। আরজান-আরিশ শিশু পার্কে খেলনা দিয়ে খেলা করে শিশুরা।’
পার্কে একটি বড় খেলনা রয়েছে । বড় একটি পাইপ স্লিপার যা বাচ্চাদের পাইপের ভেতর দিয়ে ওপর থেকে আঁকা-বাঁকা পথে দ্রুত নিচে নেমে আসার আনন্দ দেয়। আরেকপাশে রয়েছে আরও একটি বড় আঁকা-বাঁকা স্লিপার, অন্যপাশে একসঙ্গে রয়েছে দুটি অসমতল স্লিপার, যাতে বেশির ভাগ শিশুই দুজন একসঙ্গে হাতে-হাত ধরে সোজা পথে আঁকা-বাঁকা হয়ে নিচে নেমে যায়। রয়েছে একটি পাইপ যাতে শিশুরা হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়। তারই পাশে একেবারে নিচে রয়েছে একটি মোটা রশি দিয়ে তৈরি নেটের পাইপ। যার ভেতর দিয়ে হামাগুড়ি দিতে পারে শিশুরা।
একেবারে ছোট শিশুদের জন্য রয়েছে দুটি ছোট স্লিপার, যাতে চার ধাপ সিঁড়ি বেয়ে সামান্য উঁচুতে উঠেই শিশুরা স্লিপারে চড়তে পারে। একপাশে রয়েছে তিনটি চাতকী, যার ওপরে দাঁড়িয়ে শিশুরা ঘুরে-ঘুরে আনন্দ পায়। বেশির ভাগ শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দোলনা। কেউ কেউ স্লিপারে বসে সারা শরীর পাখির মতো বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে দুরন্ত গতিতে নিচে নামতে থাকে।
এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।