ডাক্তার দেখাইতে কোনো টাকা লাগে না

ডা.মাহমুদুল কবির আরিফ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন।
ছবি: প্রথম আলো।

নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার দড়ি হাইরমারা গ্রামে সাদত স্মৃতি পল্লীতে শুক্রবার, শনিবার ও রোববারে সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে লাইন বাড়তে থাকে। নির্ধারিত টিকিট শেষ হলে ওইদিন আর টিকিট পাওয়া যায় না। রোগীদের পাঁচ টাকা মূল্যের টিকিট সংগ্রহের সময় তাদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও নতুন বা পুরোনো রোগীর তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।

বীরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম । বয়স ৯০ বছর । শ্বাসকস্টের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। একই সঙ্গে গ্যাসটিকেরও সমস্য আছে। আব্দুল কাইয়ুম জানালেন, ‘গত ৩ বছর ধইরা নিয়মিত এই খানে ডাক্তর দেখাই । আজকেও ডাক্তর দেখাইলাম। ওষুধ পাই বিনা মুল্যে। ডাক্তর দেখাইতে কোনো টাকা লাগে না।’

ডা.মাহমুদুল কবির আরিফ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছেন।
ছবি: প্রথম আলো।

সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানালেন, সপ্তাহে তিনদিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞগণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। শুক্রবার ডা.শামসুজ্জামান হাসান, শনিবারে ডা.জান্নাতুল ফেরদৌস ও রোববারে ডা.মাহমুদুল কবির আরিফ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয় ।

মেঘনার ওপার থেকে নদী পার হয়ে চরে অনেক মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। অনেকেই সকালে এসে লাইন ধরেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে। সপ্তাহে তিনদিন তিনজন ডাক্তার প্রায় ১০৫ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

দরিহাইরমারা গ্রামের বাসিন্দা পারুল তার ১৫ মাস বয়সের ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে এসেছিলেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে । আব্দুল্লাহর সর্দি-কাশির সমস্য। পারুল জানালেন ডাক্তর দেখাইছি, এইখান থিকা ওষুধ দিছে ।

এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট এটি পরিচালনা করছে।