করোনাকালীন ত্রাণ বিতরণ

সাদত স্মৃতি পল্লীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।

দড়ি হাইরমারা গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে কবির হোসেন। বয়স ৪২ বছর। কবির হোসেন নরসিংদী জেলা শহরের একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েন। তিনি বলেন,‘ আমি চাররি আরাইয়া (চাকরি হারিয়ে) বউ-পুলাপাইন লইয়া না খাইয়া থাহার অবস্থা। জীবনে কুনুদিন আত ফাতিনাই। আজ্জা করোনার লাইগ্গা চাররি আরাইয়া না খাইয়া মরার অবস্থা৷ কেউর কছে কইতামও ফারি না, না কইয়াও ফারি না৷ কইতে শরম লাগে। আফনেরার দেওয়া চাইল-ডাইল নিয়া দুফুরে রান্না অইলে খামু৷ মাইষের কছে চাইতাম ফারি না, বলেই হাত দিয়ে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করেন। কবির হোসেনের মত দড়ি হাইরমারাসহ প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রামের কর্মহীন অভাবী প্রায় ৬ শতাধিক মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়৷ কয়েক ধাপে প্রদান করা হয় এই ত্রাণ। ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল ও সাবান প্রদান করা হয়।

সাদত স্মৃতি পল্লীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।

একই গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে বাক্‌প্রতিবন্ধী দিনমজুর সাদন মিয়া (৪০) করোনাকালীন ত্রাণ পেয়ে হাউ-মাউ করে ওপরের দিকে হাত তুলে মোনাজাত করেন৷ করোনা মহামারিকালে তাদের গ্রামের অনেক কর্মজীবী মানুষ বেকার হয়ে খাদ্যাভাবে কষ্ট করতে হয়৷ মহামারি করোনায় গৃহবন্দী, কর্মহীন হয়ে পড়া এই লোকদের সাদত স্মৃতি পল্লী থেকে ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে৷ এ ছাড়া স্থানীয় কয়েকটি এতিমখানায়ও কয়েক দফা ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে৷

এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহযোগিতায় প্রথম আলো ট্রাস্ট প্রকল্পটি পরিচালনা করছে।