‘আগে ঘিন ঘিন লাগতো, অহনে সুস্থ আছি’

স্যানিটারী ন্যাপকিন বিতরণ করছেন প্রকল্পের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান হাসান। গত শুক্রবার সাদত স্মৃতি পল্লীতে।
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর দড়ি হাইরমারা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত 'সাদত স্মৃতি পল্লী' প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে গ্রামের দরিদ্র কিশোরী মেয়েদের বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়৷ ৩০ জন কিশোরী মেয়েকে নিয়মিত বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য পরামর্শ ও স্যানিটারি প্রদান করা হয়৷

প্রকল্পের ডাক্তার শামসুজ্জামান হাসান বলেন, একটা বয়সে মানুষের কিছু শারীরিক পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক ও অপরিহার্য। তবে মেয়েদের স্যানিটেশনের বিষয়ে সচেতন হতে হবে৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷ প্রকল্পে ৩ জন ডাক্তার সপ্তাহে ৩ দিন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। তোমরা যেকোনো দিন, যেকোনো স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ পেতে পার৷ আমাদের কাছে বলতে কোনো সংকোচ বোধ হলে শনিবারে মহিলা ডাক্তার আছেন, তাঁর কাছ থেকেও পরামর্শ পেতে পার।’

কিশোরী মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য বিষয়খ পরামর্শ প্রদান করেন ডা. শামসুজ্জামান হাসান। গত শুক্রবার সাদত স্মৃতি পল্লীতে।
ছবি: প্রথম আলো

সেবা প্রাপক সাদিয়া (১৭) বলেন, আমার বাপ গরিব মানুষ। আমরারে সেনুরা কিন্না দিবো কৈত্তে, সংসারই ঠিকমতো চলে না৷ আগে আমি পুরান কাপড় ব্যবহার করতাম। পকল্প থেকেসেনুরা পাইয়া উপকার হয়ছে৷ আগে ঘিন ঘিন লাগতো, অহনে সুস্থ আছি৷

সেবা প্রাপক আরেকজন মেহেরুননেছা (১৫) বলেন, আগে মাঝে মাঝে ছুডু সাইজের সেনুরা কিনতাম৷ বেশির ভাগ সময় কাপড় ব্যবহার করতাম। অহনে আর সমস্যা নাই৷ প্রতি মাসেই বিনা মূল্যে ন্যাপকিন পাই৷ এতে আমাদের অনেক উপকার হয়।

প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার ৩০ জন কিশোরী মেয়েকে বিনা মূল্যে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান করা হয়। এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট৷