পাঁচটি এতিমখানার শিশু ও বয়স্কভাতা প্রাপ্তদের মাঝে খাবার বিতরণ
গত বুধবার সকাল থেকেই ভ্যানগাড়ি ভরে বড় বড় পাতিল নিয়ে হাজির হয় ডেকোরেটরের লোকেরা। কারণ, সাদত স্মৃতি পল্লীতে রাতে রান্না হবে ৮০০ মানুষের খাবার। বিকেলে ভ্যানগাড়ি ভরে চার খাঁচায় ২০০ পিছ মুরগি আনা হয়। সন্ধ্যার আগেই শুরু হয় মুরগি প্রস্তুত ও ডিম সিদ্ধর কাজ। স্থানীয় বাবুর্চি বিল্লালের দায়িত্বে ৬ জনের দল ও প্রকল্পের কর্মচারীরা মিলে ওইদিন রাত দশটায় রান্নার কাজ শুরু করেন। রাত তিনটার মধ্যে সকল রান্না শেষ করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় স্থানীয় পাঁচটি এতিমখানায় বিতরণের জন্য একটি করে ডিম, মুরগির রোস্ট, পোলাও ও সালাদসহ ওয়ান টাইম বাটি ভর্তি করা হয়। সকাল সাতটার মধ্যে খাবার ভর্তি ভ্যানগুলো প্রকল্প থেকে বের হয়ে যায় স্থানীয় পাঁচটি এতিমখানার উদ্দেশ্যে। সকাল নয়টার মধ্যে এতিমখানার সকল বাচ্চাদের মাঝে খাবার ভর্তি বাটি ও মিষ্টি বিতরণের কাজ শেষ হয়। এতিম বাচ্চারা সকালবেলায় এমন খাবার পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।
এরই মধ্যে প্রকল্পে হাজির হতে থাকেন প্রকল্প থেকে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত প্রায় সকল বৃদ্ধরা। পরে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তদের নিয়ে শিশু-বিকাশ কেন্দ্রের ধর্মীয় শিক্ষক সাবিকুল ইসলাম মোনাজাত করেন। মোনাজাত শেষে বয়স্কদের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের যমজ দুই নাতি আরজান ও আরিশের জন্মদিন ছিল ২৫ অক্টোবর। শিশুদের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়েছে।
বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত গয়েছ আলী (৮৫) বলেন,‘কিছুদিন পরে পরেই সাহেব (কুতুব উদ্দিন আহমেদ) আমরারে খাবার-দাবার দেয়। আবার কুনুকুনুসময় ঝাল গুস্তো রাইন্দা খাওয়াইয়া দেয়। আমরা গরিব মানু এতা কিন্না খাইতারি না।’
আরজান ও আরিশের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিকেলে শিশু বিকাশের বাচ্চাদের নিয়ে দুটি কেক কাটা হয়। তা ছাড়া শিশু-বিকাশের বাচ্চাদের নিয়ে ছোট আকারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের জন্য উপহার হিসেবে ছিলো ছবি আঁকার খাতা, রং পেনসিলের বক্স, বিস্কুটের প্যাকেট, উন্নতমানের চকলেট, কেক, কোকের বোতল ও মিষ্টি।
উল্লেখ্য, শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।