সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তাঁরা

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত সাদত স্মৃতি পল্লীতে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী কারিমা আক্তার।

কারিমা আক্তারের স্বপ্ন সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজে একদিন একটা ব্যবসার মালিক হবেন। তাঁর পরিবারের অভাব ঘুচাবেন। কারিমা আক্তারের বাবা মো. ইদ্রিস আলী একজন বর্গাচাষি, গৃহিণী মা এখন অসুস্থ। কারিমা জানায়, অনেক আগে থেকেই সেলাই প্রশিক্ষণ নেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। সুযোগ না থাকায় কোনোভাবে সম্ভব হচ্ছিল না। যখনই শুনতে পেলেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, তখনই যোগাযোগ করেন সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য।

সেলাই কাজ শিখতে চাওয়ার আগ্রহ দেখে কারিমাকে সাদত স্মৃতি পল্লীর সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সে সুযোগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ব্যাচের ১৬টি ক্লাসের মাধ্যমে কারিমা ছোট ছেলেমেয়েদের প্যান্ট, বালিশের কাভার, সালোয়ার, মেয়েদের জামা, ছয় সাইট জামা, কোরআন শরীফের কাভার, পেটিকোট ইত্যাদি জামা কেটে নিজেই সেলাই করতে পারেন। তার নিজের একটা সেলাই মেশিন রয়েছে। স্থানীয় একজন তাকে সেলাই মেশিনটি ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

কারিমা বলেন, ‘আমি এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করতে পেরেছি। পরে টাকার অভাবে আমার পড়ালেখা চালানো সম্ভব হয়নি। আমি সেলাই কাজ শিখে যদি কিছু করতে পারি তাহলে আমার পরিবারের জন্য খুবই উপকার হবে। আমি সেলাই কাজ করে আস্তে আস্তে একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে চাই।’

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত সাদত স্মৃতি পল্লীতে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার।

আরেক প্রশিক্ষণার্থী তানিয়া আক্তারের স্বামী দুবাই প্রবাসী। তার সংসারে একটা মেয়ে আছে। স্বামীর পাঠানো অর্থে সংসার চলে না। তানিয়া বলেন, ‘আমি সেলাই কাজ শিখে টেইলার্স দিতে চাই। পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসাও করব।’

শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।